Murshidabad News: TMC সাংসদের গাড়িতে হামলা, গালিগালাজ ; 'প্রত্যেকের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করি...'

<p><strong>জঙ্গিপুর :</strong> ওয়াকফ-বিক্ষোভে জ্বলছে মুর্শিদাবাদ। ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নামল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সরকারকে রাজধর্ম মনে করিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে <a title="কলকাতা হাইকোর্ট" href="https://ift.tt/q2E98kN" data-type="interlinkingkeywords">কলকাতা হাইকোর্ট</a>। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুর্বৃত্তদের ধরার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সামশেরগঞ্জ গেলেন ডিজিপি রাজীব কুমার। ধুলিয়ান, সুতি, সামশেরগঞ্জে পুলিশের রুটমার্চ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিএসএফের টহলদারি চলছে। এদিকে এরই মধ্যে থানায় গেলেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা। ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁরা গতকাল পৌঁছে যান থানায়।</p> <p>এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, "গতকালের এই ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত। আমি খুবই আহত হয়েছি যে, এটা কাম্য ছিল না। আমরা কখনো আশা করিনি...আমি আমার এই ৬৫ বছর বয়সে এটা কখনো দেখিনি, শুনিনি। কিন্তু, এটা দেখলাম। কী দেখলাম ? নেতৃত্ব-বিহীন এবং ব্য়ানার-বিহীন একটা দল, কয়েক হাজার ছেলেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। যারা ওয়াকফ সম্পর্কে বোঝেই না। ওয়াকফ কী জিনিস তারা বোঝেই না। তারপরেও তারা যে প্রতিবাদ করেছে... আমি সেই সময় পার্টির কিছু কর্মসূচির জন্য জঙ্গিপুর যাচ্ছিলাম। গাড়ি থেকে নেমে আমি প্রত্যেকের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করি, আপনারা ফিরে যান। কিন্তু, তারা উল্টো আমাকে গালিগালাজ শুরু করল। পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার পরে আমি আবার এগিয়ে গেলাম সাজুর মোড়ে। সেখানেও আমার গাড়িতে হামলা হয়। মনে হচ্ছে, আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেবে। সেখানেও পুলিশ আমাকে বের করে দেয়। তাদের কী যে উদ্দেশ্য তা পুলিশের লোকও বুঝতে পারেনি, আমরাও বুঝতে পারছি না।"&nbsp;&nbsp;</p> <p>ওয়াকফ-অশান্তিতে অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ। সামশেরগঞ্জে বাড়ি থেকে বের করে, কুপিয়ে খুন করা হল বাবা-ছেলেকে। প্রাণ গেল, সুতিতে গুলিবিদ্ধ কিশোরের। গুলিবিদ্ধ আরও ২ কিশোর সহ ৩ জন। সুতি-সামশেরগঞ্জে পুলিশের রুটমার্চ, BSF-এর টহল, তা সত্ত্বেও জায়গায় জায়গায় অশান্তি, হিংসার ঘটনা। দোকানে ভাঙচুর, লুঠপাট করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। সুতি-সামশেরগঞ্জে অশান্তির ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্য়া শতাধিক।</p> <p>সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান। সুতির সাজুরহাটে একের পর এক সরকারি বাস, গাড়ি, মোটর বাইকে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রেহাই পায়নি অ্য়াম্বুল্য়ান্সও। ট্রাফিক গার্ড, পুলিশ কিয়স্কে চলেছে তাণ্ডব-ভাঙচুর। সামশেরগঞ্জে ট্রাফিকগার্ডেও তাণ্ডব চালানো হয়। পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য় হয়। ভিতরে যা যা আসবাবপত্র ছিল, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভেঙে খান খান করে দেওয়া হয় রেলগেট। গেটম্য়ানের অফিসে চলে দেদাড় ভাঙচুর। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক দোকানে।&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/cuKA2mD
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments