Swami Vivekananda: জীবনে হতাশা ঘিরে ধরলে বাঁচার দিশা দেখাবে স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণীগুলি

Swami Vivekananda: জীবনে হতাশা ঘিরে ধরলে বাঁচার দিশা দেখাবে স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণীগুলি



আপনি কি খুব সহজে হতাশ হয়ে পড়েন? সবসময়তেই মনে হয় যে জীবনে আর কিছু করা যাবে না? জীবনে চলার পথে আপনি যদি হতাশার সম্মুখীন হন তাহলে বিবেকানন্দের বাণী আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবেই।

উত্তর  কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে ১৮৬৩ সালের ১২ ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, লেখক, দার্শনিক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রধান শিষ্য। তাঁর জন্মনাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত।

মানুষকে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক বাণী দিয়েছেন তিনি। এত বছর পরেও সেই বাণী গুলি আমাদের কাছে আদর্শের মতো হয়ে আছে। তাঁর দেওয়া বাণী এবং জীবসেবার ধর্ম যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর মতে, মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর করার মধ্য দিয়েই ঈশ্বরকে পাওয়া সম্ভব। জীবনে চলার পথে আপনি যদি হতাশার সম্মুখীন হন তাহলে বিবেকানন্দের বাণী আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবেই। মানসিক অবসাদ থেকে ঘুরে দাঁড়াতেও বিবেকানন্দের বাণী আপনাকে সাহায্য করবে।

সন্ন্যাস জীবনের সময় তিনি চারিদিকে নানা বাণী ছড়িয়ে দেন তাঁর বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে। বিবেকানন্দের লেখা কিছু বইতেও তাঁর লেখা বাণী রয়েছে যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল বিবেকানন্দের কিছু বিখ্যাত বাণী যা আপনাকে একটি নতুন জীবন দেবে।

(১) ওঠো, জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।

(২) সত্যের জন্য সবকিছু ত্যাগ করা যায় কিন্তু কোন কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।

(৩) নিজের উপর বিশ্বাস না এলে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।

(৪) যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে, আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।

(৫) তুমি যদি সঠিক হও, তাহলে তা প্রমাণ করার চেষ্টা করো না। চুপচাপ অপেক্ষা করো, সময় সব কিছুর জবাব দিয়ে যাবে।

(৬) যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই, সে আসলে মরতে বসেছে। যত দিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।

(৭) এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।

(৮) সেবা করো তাৎপরতার সাথে। দান করো নির্লিপ্ত ভাবে। ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে। ব্যয় করো বিবেচনার সাথে। তর্ক করো যুক্তির সাথে। কথা বলো সংক্ষেপে।

(৯) উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে বাহিরে টেনে বের করে আনো, এবং হালকা হও … কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।

(১০) আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।

(১১) মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনো কাজই ছোট নয়।

(১১) কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।

(১২) সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।

(১৩) তুমি গীতা পড়ার থেকে ফুটবলের মাধ্যমে স্বর্গের অনেক বেশি কাছাকাছি যেতে পারবে।

জীবনে তিনটি আদর্শ চোখ বন্ধ করে মেনে চলার কথা বলেছেন স্বামীজী। তিনি বলেছেন, ‘যারা তোমায় সাহায্য করেছে, তাঁদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কোনওদিন ঘৃণা করো না। আর যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।’



 

Post a Comment

0 Comments

Maharashtra News: নিজের মৃত্যুর খবর ছড়াতে আরেকজনকে পুড়িয়ে মারলেন যুবক ! কাল হল বান্ধবীকে মেসেজ করা