<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে পাকিস্তানে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। Operation Sindoor-এ নিহত পরিবারকে নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে। কিন্তু জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহার তাঁদের দেশে নেই, আফগানিস্তানে থাকতে পারে বলে দাবি করলেন বিলাবল ভুট্টো। তাঁর দাবি, পাকিস্তান মাসুদকে গ্রেফতার করতে পারলে খুশিই হবে। ভারত যদি জানে, তাহলে মাসুদের ঠিকানা দিক বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বিলাবল। (India-Pakistan Conflict)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল। লস্কর-ই-তৈবার নেতা হাফিজ সইদ এবং মাসুদ, দু’জনকেই আশ্রয় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। পাকিস্তানের মাটিতে তাঁরা বিনা বাধায়, স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে কী করে, জানতে চাওয়া হয়। জবাবে বিলাবল বলেন, “এটা সঠিক তথ্য় নয়। হাফিজ সইদ মুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে না। পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে। মাসুদকে গ্রেফতার বা শনাক্ত করতে পারিনি সত্য। আফগানিস্তানের জিহাদ পর্ব স্মরণ করে বলতে পারি, ও আফগানিস্তানে রয়েছে বলেই বিশ্বাস আমাদের।” (Bilawal Bhutto)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মাসুদ পাকিস্তানে থাকলে, ভারতই ঠিকানা দিক বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বিলাবল। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের মাটিতে ও (মাসুদ) কোথায় আছে, ভারত সরকার যদি আমাদের জানায়, যখনই জানাবে আমার ওকে গ্রেফতার করতে পারলে খুশিই হবে।” কিন্তু ভারতকে তথ্য় দিতে হবে কেন? বিলাবলের যুক্তি, “সন্ত্রাসদমনে কোনও দেশের সঙ্গে যখন সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকে, সেক্ষেত্রে পরস্পরের সঙ্গে তথ্য, উদ্বেগ ভাগ করে নিই আমরা। আর তাতেই লন্ডন, নিউ ইয়র্ক এবং পাকিস্তানেও হামলা এড়ানো যায়।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মাসুদকে নিয়ে বিলাবল আরও বলেন, “মাসুদ আজহার যদি আফগানিস্তানে থাকে, সেখানে এখন এমনটা সংগঠন সরকার চালাচ্ছে, যাদের একসময় সন্ত্রাসবাদী বলে গণ্য করত পশ্চিমি দুনিয়া। এখন তারা আফগানিস্তান শাসন করছে। পাকিস্তানের পক্ষে NATO-র ভূমিকা পালন কার সম্ভব নয়। ওই ব্যক্তির দ্বারা পাকিস্তানের কোনও লাভের সম্ভাবনা নেই।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">পহেলগাঁও হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত নেয়, তার রেশ এখনও অনুভূত হচ্ছে। ভারতের তরফে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন বিলাবল। তাঁর কথায়, “সিন্ধু আমাদের, আমাদেরই থাকবে। হয় আমাদের জল বইবে সিন্ধু দিয়ে, নয় ওদের রক্ত।” যদিও বিলাবলের এই চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিত চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরি। তাঁর বক্তব্য, “ওঁকে বলুন জলে ঝাঁপ দিতে। কিন্তু কী করে দেবেন, জলই তো থাকবে না?”</span></p>
from india https://ift.tt/ubQ3vah
via IFTTT
0 Comments