Madhya Pradesh News: কার্বাইড বন্দুক কেড়ে নিল দৃষ্টিশক্তি, মধ্যপ্রদেশে অন্ধ হয়ে গেল ১৪ শিশু, ‘মিনি কামান’ বিক্রিতে প্রশ্ন

<p><span style="font-weight: 400;"><strong>ভোপাল:</strong> দীপাবলিতে বাজির তাণ্ডব দেখেছে গোটা দেশ। আদালত সবুজ বাজিতে অনুমোদন দিলেও, দেদার নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো হয়েছে। দিল্লি, কলকাতা-সহ দেশের প্রায় সর্বত্রই এক ছবি দেখা গিয়েছে দীপাবলিতে। আর সেই আবহে মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল মধ্যপ্রদেশ থেকে। সেখানে কার্বাইড বন্দুক চালাতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারাল ১৪ শিশু। (Deadly Carbide Gun)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">দীপাবলিতে আতসবাজির, শব্দবাজির&nbsp; পাশাপাশি এবার কার্বাইড বন্দুক কেনার হিড়িকও ছিল চোখে পড়ার মতো। ছোটদের সেই আবদার মেটাতে কুণ্ঠা করেননি বড়রাও। কিন্তু সেই আবদারের এমন মাশুল চোকাতে হবে, ভাবতে পারেননি কেউ। কার্বাইড বন্দুক চালিয়ে মধ্যপ্রদেশে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে, গত তিন দিনে ১২২-এর বেশি শিশু ভর্তি রয়েছে এই মুহূর্তে, যার মধ্যে পাকাপাকি ভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে ১৪ শিশু। (Madhya Pradesh News)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের বিদিশার অবস্থা সবচেয়ে খবর। সেখানে খোলা বাজারে দেদার কার্বাইড বন্দুক বিকিয়েছে। এক-একটির দাম রাখা হয় ১৫০ থেকে ২০০-র মধ্যে। অথচ গত ১৮ অক্টোবরই কার্বাইড বন্দুক নিষিদ্ধ করে সরকার। কারণ খেলনা বলে বাজারে বিক্রি হলেও, কার্বাইড বন্দুক থেকে বারুদ আসলে বোমার মতো ফাটে।&nbsp;</span></p> <blockquote class="twitter-tweet"> <p dir="ltr" lang="en">VIDEO | Bhopal: Over 60 people, mostly children aged 8&ndash;14, injured by a makeshift carbide gun this Diwali, with severe injuries to eyes, face, and skin. Hospitals report ongoing treatment. CMHO Manish Sharma warns against the use of carbide guns.<br /><br />(Full video available on PTI&hellip; <a href="https://t.co/zh2sNFh22k">pic.twitter.com/zh2sNFh22k</a></p> &mdash; Press Trust of India (@PTI_News) <a href="https://twitter.com/PTI_News/status/1980998883787591897?ref_src=twsrc%5Etfw">October 22, 2025</a></blockquote> <p><span style="font-weight: 400;">বাজার থেকে কেনা কার্বাইড বন্দুকে যেমন আহত হয়েছে অনেকে, তেমনই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে বাড়িতে কার্বাইড বন্দুক তৈরি করতে গিয়েও চোখ হারিয়েছে অনেকে। ১৭ বছরের নেহার বক্তব্য, &ldquo;হোমমেড কার্বাইড বন্দুক কিনেছিলাম। কিন্তু সেটিতে বিস্ফোর ঘটে। আমার চোখ সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে যায়।&rdquo; আবার রাজ বিশ্বকর্মা নামের এক বালক বলে, &ldquo;সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে বাড়িতেই কার্বাইড বোমা তৈরির চেষ্টা করি। আমার মুখের উপর ফেটে যায়। চোখ গিয়েছে আমার।&rdquo;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">কার্বাইড বন্দুক বিক্রি নিয়ে এখনও পর্যন্ত ছ&rsquo;জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোপাল, ইন্দৌর, জবলপুর, গ্বালিয়রের বিভিন্ন হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের ওয়ার্ড একেবারে ভর্তি। ভোপালের Hamidia হাসপাতালে গত ৭২ ঘণ্টায় ২৬ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। Hamidia হাসপাতালের CMHO মণীশ শর্মা বলেন, &ldquo;এগুলো মোটেই খেলনা নয়। বিস্ফোরক বোঝাই যন্ত্র। সরাসরি চোখের ক্ষতি করে। বিস্ফোরণের পর যে ধাতব কণা ছিটকে আসে এবং কার্বাইডের ধোঁয়া বেরোয়, তাতে রোটিনে পুড়ে যায়। একাধিক এমন ঘটনা সামনে এসেছে। চিরকালের জন্য চোখ হারাচ্ছে শিশুরা।&rdquo; কিছু শিশুকে ICU-তেও রাখা হয়েছে বলে খবর।&nbsp;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্লাস্টিক ও টিনের পাইপের মধ্যে গান পাওডার, দেশলাই কাঠির বারুদ, ক্যালসিয়াম কার্বাইড পোরা হয় প্রথমে। এর পর ওই পাইপ ফুটো করে তার মধ্যে দিয়ে আগুন ধরানো হয়। এতে তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে, ছিটকে বেরোয় আগুনের গোলা। &lsquo;ছোট কামান&rsquo; হিসেবে সেগুলি বিক্রি করা হয় বাজার। ফুটপাতের স্টলেও দেদার বিক্রি হয়। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম রিলস এবং ইউটিউব শর্টস থেকেই কার্বাইড বন্দুক কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সকলে, বিশেষ করে শিশু এবং কিশোররা।</span></p>

from india https://ift.tt/tQ8OGTk
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments