<p>Maharashtra News: জীবন বিমার টাকা দিয়ে বাড়ির লোন শোধের পরিকল্পনা করেছিলেন এক যুবক। কিন্তু জীবন বিমার টাকা পেতে গেলেতো মরতে হবে তাঁকেই ! এখানেই ওই যুবক করে ফেলেন আরেকটি সাংঘাতিক পরিকল্পনা। রাস্তা থেকে এক ব্যক্তিকে নিজের গাড়িতে লিফট দেন। তারপর সুযোগ বুঝে গাড়ি সমেত পুড়িয়ে মেরে দেন ওই ব্যক্তিকে। এতটাই ভালভাবে নিজের মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছিলেন যে ঘোল খেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এমনকি পরিবারের লোকজনও। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বান্ধবীর সঙ্গে মেসেজে কথাবার্তা চালাতে গিয়েই পুলিশের নজরে এসে যান ওই যুবক। ধীরে ধীরে খোলসা হয় সবটাই। ভয়ঙ্কর এই কাণ্ড ঘটেছে মহারাষ্ট্রের লাতুরে। অভিযুক্তের এ হেন কার্যকলাপে হতবাক তদন্তকারীরাও। </p> <p>প্রথমে একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল একটি পোড়া দেহও। স্বভাবতই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করে, গাড়ির মালিকেরই হয়তো মৃত্যু হয়েছে। কারণ চালকের আসনে ছিল ওই দেহ। গাড়ি থেকেও মালিকেরই কাগজপত্র মিলেছিল। খোঁজখবর করতেই গাড়ির মালিক গণেশ চবনের নাম আসে পুলিশের হাতে। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। পরিবারের সদস্যরাও জানান যে গণেশ বাড়ি ফেরেননি এবং তাঁর ফোনও বন্ধ রয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে পুলিশ অনুমান করেছিল যে গণেশেরই হয়তো মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে হল এই মৃত্যু? খতিয়ে দেখতে গিয়েই পুলিশের হাতে আসে এমন কিছু তথ্য যার থেকে তদন্তকারীদের মনে হতে থাকে যে, কী একটা যেন মিলছে না। </p> <p>এরপরেই গণেশের বান্ধবীর খোঁজ পায় পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, ওই ঘটনার পরেও নাকি গণেশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে অন্য একটি ফোন নম্বর থেকে। আর এতেই সন্দেহ আরও বাড়ে পুলিশের। গণেশের এই দ্বিতীয় মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করেই হদিশ পাওয়া যায় তাঁর। পাকড়াও করে গণেশকে নিজেদের হেফাজতে নেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ। শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই জানা যায়, এক কোটি টাকার একটি জীবন বিমা করিয়েছিলেন গণেশ। বাড়ির ঋণ ওই টাকাতেই শোধ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। আর এর জন্যই গোবিন্দ যাদব নামের এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মেরেছেন অভিযুক্ত গণেশ, এমনটাই দাবি পুলিশের। </p> <p>নিজের মৃত্যুরই খবর রটিয়ে দিয়েছিলেন গণেশ। সবটাই ভুয়ো হলেও প্রথমে কেউই কিছু বুঝতে পারেনি। নাটক ভালভাবেই মঞ্চস্থ হয়ে গিয়েছিল। কাল হল বান্ধবীকে মেসেজ করা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তা থেকেই গোবিন্দ যাদবকে গাড়িতে লিফট দিয়েছিলেন গণেশ। কিছুটা নেশার ঘোরে ছিলেন গোবিন্দ। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগান গণেশ। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রাস্তায় এক জায়গায় গাড়ি থামিয়েছিলেন গণেশ। তখন গাড়িতে বসেই খাওয়া-দাওয়া সেরে নেন গোবিন্দ। তারপর ঘুমিয়েও পড়েন। সুযোগ বুঝে গোবিন্দকে টেনে এনে চালকের আসনে বসিয়ে দেন গণেশ। তারপর আগুন ধরিয়ে দেন গাড়িতে। পুলিশ এবং পরিবারের লোককে ধোঁকা দেওয়ার জন্য নিজের ব্রেসলেটও ইচ্ছে করেই গাড়িতে ফেলে গিয়েছিলেন গণেশ। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পারেননি এই অভিযুক্ত যুবক। আপাতত তাঁর নামে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। </p>
from india https://ift.tt/hMu71Ob
via IFTTT
0 Comments