<p style="font-weight: 400;">আরও একটা বছর শেষ হওয়ার পথে। ২০২৬ নিয়ে এখন থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন সকলে। কিন্তু ২০২৫ সাল ঘটনাবহুল হয়ে থাকবে ভারতের জন্য। কারণ স্মরণকালে এত ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি ভারতকে। যে ভূস্বর্গে শান্তি-স্থিতাবস্থা ফিরেছে বলে স্বস্তিতে ছিলেন সকলে, সেখানেই ফিরে আসে সন্ত্রাসের বিভীষিকা। আবারও যুদ্ধ পরিস্থিতির উপক্রম হয়। ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি। (Operation Sindoor Look Back)</p> <p style="font-weight: 400;">গত কয়েক মাসে পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে এলেও, আশঙ্কার মেঘ কাটেনি এখনও। এখনও ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি জুগিয়ে চলেছে পাকিস্তান। ভারতও জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষ হয়নি এখনও। তাই আগামী দিনে ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। (Year Ender 2025)</p> <p style="font-weight: 400;">‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতের জন্য কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বহির্শত্রুর আক্রমণ মোকাবিলা করতে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে ভারত। বহুদূরের লক্ষ্যে আঘাত হানার ক্ষেত্রে সামরিক দক্ষতা যেমন প্রমাণ করেছে ভারত, তেমনই সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দাদের মধ্যে সমন্বয়ও নজর কাড়ে। এমনকি ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীনই বরাবর প্রথম পরমাণু শক্তি ব্যবহার না করার পণ থেকেও সরে আসে ভারত। পাকিস্তানের পরমাণু হুমকি যে বরদাস্ত করা হবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়।<br /><img src="https://ift.tt/BL9xPQl" width="456" height="257" /></p> <p style="font-weight: 400;">কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও ছবির মতো সুন্দর পহেলগাওঁয়ের কথা উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বৈসরন উপত্যকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহগুলির কথা। স্বামীর নিথর দেহের পাশে বসে থাকা নববিবাহিত তরুণীর নির্বাক চেহারা মনে পড়লে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায় শিরদাঁড়া দিয়ে। আবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন পাকিস্তানের ছোড়া গোলায় বাড়িঘর হারানো ভূস্বর্গের সেই মানুষগুলি আর্তি ভেসে ওঠে কানে। তাই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং সবশেষে যুদ্ধবিরতি, দুঃসহ সেই ঘটনাক্রম ফিরে দেখে নেওয়া যাক একনজরে-</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>২২ এপ্রিল, ২০২৫:</strong> দুপুর ২টো বেজে ৫০ মিনিটে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর হামলা চালায় পাঁচ জঙ্গি। ধর্ম পরিচয় জেনে ধরে ধরে খুন করে মোট ২৬ জনকে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু। একজন ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, অন্য আর একজন ছিলেন মুসলিম। M4 কার্বাইন এবং AK-47 তেকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় সকলকে। ২০০৮ সালে ২৬/১১ হামলার পর এই প্রথম নিরীহ নাগরিকদের উপর এত বড় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার দায় স্বীকার করে The Resistance Front, যারা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শাখা।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>২৩ এপ্রিল, ২০২৫:</strong> পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। SAARC ভিসায় পাকিস্তানের নাগরিকরা যে সুবিধা পেতেন, তা বাতিল করা হয়। যে পাকিস্তানি নাগরিকরা ভারতে ছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয় সকলকে। ভারতে মোতায়েন পাকিস্তানি কূটনীতিকরা স্বীকৃত হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়, তেমনই দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মীর সংখ্যা ৫০ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হয়।</p> <p style="font-weight: 400;">পঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে বিপদ নেমে আসে। ভুল করে সীমান্ত টপকে পাকিস্তানের এলাকায় ঢুকে পড়েন BSF জওয়ান পূর্ণম সাউ। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রিষড়ার বাসিন্দা। পাকিস্তানি সেনা বন্দি করে তাঁকে। </p> <p style="font-weight: 400;"><strong>এপ্রিল ২৪, ২০২৫:</strong> সর্বদল বৈঠক বসে কেন্দ্রে। ভারতীয় সেনা, আধাসেনা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ তল্লাশি অভিযানে নামে। পহেলগাঁও কার্যত অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়। পীর পাঞ্জালের জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজে নামে হেলিকপ্টার। অনন্তনাগের বাসিন্দা আদিল হুসেন, পাক নাগরিক, লস্কর সদস্য আলি ভাই ও হাশিম আমলার, তিন জঙ্গি সম্পর্কে খবর দিতে পারলে ৬০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে উপত্যকার পুলিশ।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>এপ্রিল ২৬, ২০২৫:</strong> জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের থেকে তদন্তভার গ্রহণ করে NIA-র সন্ত্রাস দমন বিভাগ। পাকিস্তানের সঙ্গে ডাক যোগাযোগ সাসপেন্ড করার পাশাপাশি, পাকিস্তানের পতাকা লাগানো জাহাজ ফেরত পাঠানো হয় ভারতের বন্দর থেকে। অন্য দিকে, ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে পাকিস্তান।<br /><img src="https://ift.tt/DjUZv1A" width="504" height="284" /></p> <p style="font-weight: 400;"><strong>২৭ এপ্রিল, ২০২৫:</strong> লস্কর এবং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর মধ্যে সংযোগ খুঁজে পায় NIA. উপত্যকায় সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় ১৫০০-এর বেশি মানুষকে। অন্য দিকে, পহেলগাঁও নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, ‘নিরপেক্ষ’, ‘স্বচ্ছ’, ‘গ্রহণযোগ্য’ তদন্তের দাবি করেন।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>২৮ এপ্রিল, ২০২৫:</strong> জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় পহেলগাঁও হামলা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়। সন্ত্রাস দমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় সব পক্ষ। ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্য়ানেল নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। সেই আবহেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি সেনা। কুপওয়ারা, বরামুল্লা, পুঞ্চ, নৌশেরা, আখনুর সেক্টরে গোলাগুলি বর্ষণ করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতও।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>২৯ এপ্রিল, ২০২৫: </strong>NIA জানায়, জঙ্গি হাশিম মুসা একসময় পাকিস্তান স্পেশাল ফোর্সের প্যারা কম্যান্ডো ছিল একসময়। ISI-ই তাকে লস্করের কাছে হস্তান্তর করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন। পাল্টা হুমকি দেন পাকিস্তানের তথ্য বিভাগের মন্ত্রী আতাউল্লা তরার।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>৩০ এপ্রিল, ২০২৫:</strong> পাকিস্তানি বিমান সংস্থাকে নিষিদ্ধ করে ভার। পাকিস্তান আগেই ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন, জাতীয় ঐক্যের আবেদন জানান।</p> <p style="font-weight: 400;">নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মোদি। আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। শেহবাজের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>১ মে, ২০২৫:</strong> পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করে ভারত। NIA জানায়, হাশিম ও আলি লাগাতার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। </p> <p style="font-weight: 400;">আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন। পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করে দেওয়া হয় আইনি অনুরোধের মাধ্যমে।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>২ মে, ২০২৫:</strong> প্রাথমিক রিপোর্টে NIA জানায়, লস্করের সদর দফতরে হামলার পরিকল্পনা হয়, যাতে শামিল ছিল ISI-ও। পাকিস্তানি অভিনেতা, ক্রিকেটারদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয় ভারতে।</p> <p style="font-weight: 400;">পাকিস্তান করাচি ও লাহৌরের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে। চিনা রাষ্ট্রদূত জিয়াং জায়দং শেহবাজের সঙ্গে দেখা করে সংযম বজায় রাখতে বলেন।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>৩ মে, ২০২৫:</strong> আরব সাগরে মহড়া ভারতীয় নৌসেনার। বিনা প্ররোচনায় ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলিবর্ষণ পাক সেনার।</p> <p style="font-weight: 400;">আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতের রাজস্থানে ঢুকে পড়েন এক পাক রেঞ্জার। </p> <p style="font-weight: 400;"><strong>৪ মে, ২০২৫:</strong> গোয়েন্দাদের দাবি, বৈসরন উপত্যকা ছাড়াও ১৫ এপ্রিল থেকে আরু, বেতাব উপত্যকা এবং একটি পার্ক রেকি করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তাব্যবস্থা তেমন আঁটোসাটো নয় বলে শেষ পর্যন্ত বৈসরনকেই বেছে নেওয়া হয় হামলা চালানোর জন্য।</p> <p style="font-weight: 400;"><br /><img src="https://ift.tt/QHIic1k" width="510" height="287" /></p> <p style="font-weight: 400;"><strong>৫-৬ মে, ২০২৫:</strong> টানা ১২ রাত ধরে নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলিবর্ষণ পাক সেনার। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ৭ থেকে ১৫ মে, রাফাল, মিরাজ ২০০০ এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান নিয়ে রাজস্থানে মহড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারত সরকারের তরফে নির্দেশিকা প্রকাশ করে মকড্রিলের জন্য সতর্ক করা হয় নাগরিকদের।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>৭ মে, ২০২৫: </strong>গভীর রাত ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের সূচনা করে ভারত। রাত ১টা বেজে ৫ মিনিট থেকে ১টা বেজে ৩০ মিনিটের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের নয়টি শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর মরকজ সুভান। জঙ্গি নিয়োগ থেকে প্রশিক্ষণ, মগজধোলাই, সব চলত সেখান থেকেই।মুরিদকে-তে লস্কর-ই-তৈবার মরকজ তৈবা, সিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের মেহমুনা জোয়া ক্যাম্প, মুজফ্ফরাবাদে জইশের সৈয়দনা বেলাল ক্যাম্প, কোটলিতে লস্করের গুলপুর ক্যাম্প, আব্বাস ক্যাম্প, ভিম্বেরের অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বরনালা ক্যাম্প, লস্করের সাওয়াই নালা ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।</p> <p style="font-weight: 400;">পাকিস্তানের তরফে পাল্টা ঝাঁক ঝাঁক ড্রোন ছোড়া হয়। ভারত কড়া হাতে তার মোকাবিলা করে।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>৮ মে, ২০২৫:</strong> লেহ্ থেকে স্যর ক্রিক পর্যন্ত ৩৬টি জায়গা লক্ষ্য করে প্রায় ৩০০-৪০০ ড্রোন ছোড়ে পাকিস্তান। তাদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাক সেনার পরিকাঠামো লক্ষ্য করে পাল্টা আঘাত হানে ভারত।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>৯ মে, ২০২৫: </strong>রাতে ফের ভারতের ২৬টি জায়গাকে নিশানা করে ড্রোন ছোড়ে পাকিস্তান, যার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং গুজরাতের কিছু এলাকাও ছিল। বিমানবন্দর, বায়ুসেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো লক্ষ্য ছিল তাদের। কিন্তু আক্রমণ প্রতিহত করতে সফল হয় ভারত।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>১০ মে, ২০২৫:</strong> একেবারে সকাল সকাল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হেনে পাকিস্তানের রেডার প্রযুক্তিকে কার্যত গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। আঘাত হানা হয় বায়ুসেনা প্রযুক্তির উপরও।</p> <p style="font-weight: 400;">এর পরই দুপুরের পর পাক সেনার ডিজি হটলাইনে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বোঝাপড়ার প্রস্তাব দেন।</p> <p style="font-weight: 400;">এর কিছু ক্ষণ পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। আমেরিকার মধ্যস্থতায় দুই দেশ সেই মুহূর্ত থেকেই যুদ্ধ থেকে সরে আসতে সম্মত হয়েছে বলে জানান।</p> <p style="font-weight: 400;">সন্ধে ৬টায় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, শত্রুতায় বিরতি টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p style="font-weight: 400;">রাত ১১টা নাগাদ আবার বিদেশ সচিব জানান, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। পাক সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।</p> <p style="font-weight: 400;"><br /><img src="https://ift.tt/bs1jMox" width="530" height="298" /></p> <p style="font-weight: 400;"><strong>১১ মে, ২০২৫: </strong>দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের আওতায় ভারত শুধুমাত্র সীমান্তলাগোয়া পাক সেনার ঘাঁটিগুলিতেই আঘাত হানেনি, পাক সেনার সদর দফতর রাওয়ালপিণ্ডিতেও অভিঘাত অনুভূত হয়েছে।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>১২ মে, ২০২৫: </strong>বিকেল ৫টায় আলোচনায় বসেন দুই দেশের DGMO. সীমান্তলাগোয়া অঞ্চল থেকে সেনা কমিয়ে নিতে সম্মত হন তাঁরা।</p> <p style="font-weight: 400;">ওই দিনই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নতুন নীতিই হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। পরমাণু হুমকির সামনে আর মাথানত করবে না ভারত।</p> <p style="font-weight: 400;"><strong>১৪ মে, ২০২৫:</strong> অবশেষে ভারতে ফেরেন BSF জওয়ান পূর্ণম। কূটনৈতিক দৌত্যের মাধ্যমে দেশে ফেরানো সম্ভব হয় তাঁকে।</p> <p style="font-weight: 400;">রাজস্থানে ঢুকে পড়া পাক রেঞ্জারকে মুক্তি দেয় ভারতও। </p> <p style="font-weight: 400;"> </p>
from india https://ift.tt/RltvcjU
via IFTTT
0 Comments