Mahakumbh Stampede Compensation: মাথাপিছু ২৫ লক্ষ করে ক্ষতিপূরণ, মহাকুম্ভে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি, জানালেন যোগী

<p><strong>প্রয়াগরাজ:</strong> মহাকুম্ভে মহা বিপর্যয় নেম এসেছে পুণ্যস্নান ঘিরে। পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৩০ জন, আহতের সংখ্যা তার প্রায় দ্বিগুণ। এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, সেই সময় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করলেন তিনি। (Mahakumbh Stampede Compensation)</p> <p>ভোররাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। তার ১৭ ঘণ্টা পর হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করে যোগী সরকার। এর পর রাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন যোগী। তিনি জানান, মেলাপ্রাঙ্গনে পদপিষ্ট হয়ে যত জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে তাঁর সরকার। পাশাপাশি, আগামী কয়েক দিন স্নান চলাকালীন যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে তাঁর সরকার। (Mahakumbh Stampede Incident)</p> <p>মহাকুম্ভে এত বড় ঘটনা ঘটল কী করে, প্রচারে এত জোর দেওয়া হলেও, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। যোগী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। যে বা যাঁর গাফিলতি ধরা পড়বে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হর্ষকুমার নেতৃত্বে প্রাক্তন ডিজিপি ভিকে গুপ্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার ডিকে সিংহের তদন্তকমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে যোগী সরকার।</p> <p>পাশাপাশি আরও একটি তদন্ত কমিটিও সমান্তরাল তদন্ত চালাবে। যোগী বলেন, "ঠিক কী ঘটেছিল,এত বড় বিপর্যয় ঘটল কী করে, তার নেপথ্য কারণ জানা জরুরি।" বৃহস্পতিবারই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর কথা তদন্তকারীদের। মৃতদের মধ্যে ২৫ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে বুধবার রাতে জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।</p> <p>এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনই কর্নাটক, অসম, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গের&nbsp;লোকজনও রয়েছেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে আরও একটি অমৃত স্নান রয়েছে। সেখানে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, এখন থেকেই তা সুনিশ্চিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে।</p> <p>এই অমৃত স্নানকে ঘিরেই মহাকুম্ভে বিপর্যয় নেমে আসে ভোররাতে। জানা গিয়েছে, বুধবার মৌনী অমাবস্যা ছিল। তার আগে মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ে রাত ১টা থেকে। মানুষের ভিড়ে তিলধারণের জায়গা ছিল না মেলাপ্রাঙ্গনে। পাশাপাশি, কোথা দিয়ে স্নান করতে যাওয়া হবে, স্নান করে উঠে কোথায় যাওয়া হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন মানুষজন। সেই সঙ্গে আগে স্নান করা নিয়ে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আর তাতেই বিপর্যয় নেমে আসে।</p>

from india https://ift.tt/UujlNvF
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments