<p><strong>নয়াদিল্লি :</strong> এবার পাল্টা ভারতের ? আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র ও বিমান কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখল কেন্দ্র। এই বিষয়ে অবগত তিন ভারতীয় অফিসার এমনই জানিয়েছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ধাক্কার পর এবার অসন্তোষ দেখানো হল ভারতের তরফে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের এমনই খবর। কিছু ক্রয়ের বিষয়ে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। কিন্তু, তাঁর এই সফর বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। যদিও ভারত সরকারের তরফে এনিয়ে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি।</p> <p>রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় ভারতের উপর ক্রমাগত শুল্ক চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। গত বুধবারই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, রাশিয়ার কাছে এ ধরনের ক্রয়ের অর্থ রাশিয়াকে পক্ষান্তরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অর্থ জোগানো। সবমিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকার যে কোনও বাণিজ্য সঙ্গীর মধ্যে যা সর্বোচ্চ। যদিও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শুল্কের বিষয়ে দ্রুত নিজের অবস্থান পরিবর্তন করার ইতিহাস রয়েছে এবং ভারত বলেছে যে তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনায় নিযুক্ত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপরের এক অফিসার জানিয়েছেন যে, ভারত শুল্ক এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেলে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্রয় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তবে "যত তাড়াতাড়ি আশা করা হয়েছিল তত তাড়াতাড়ি নয়।" অপর এক অফিসার অবশ্য জানিয়েছেন, এই ক্রয় থামিয়ে দেওয়ার লিখিত কোনও নির্দেশিকা আসেনি।</p> <p>ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং পেন্টাগন এনিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পার্টনারশিপ গড়ে তোলা ভারত এর আগে বলেছে যে, অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে এবং ওয়াশিংটন ও তার ইউরোপিও মিত্ররা নিজেদের স্বার্থে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।</p> <p>ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, "রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে সাম্প্রতিক সময়ে টার্গেট করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে যে, বিষয়টি আমদানি বাজারের উপর ভিত্তি করে এবং ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে করা হয়। অতএব, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আমেরিকা ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাও এমন একটা কারণ দেখিয়ে যেটা অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশও তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।" মন্ত্রকের সংযোজন, "আমরা আবারও বলছি যে এই পদক্ষেপগুলি অন্যায্য, অন্যায় এবং অযৌক্তিক। ভারত তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।"</p>
from india https://ift.tt/AbdU0wJ
via IFTTT
0 Comments