<p>Independence Day High Alert: স্বাধীনতা দিবসের আগে বড় সতর্কবার্তা দিল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)। গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতের বিভিন্ন অংশে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। এই নিয়ে অ্যালার্টও জারি করেছে আইবি। গোয়েন্দা বিভাগ আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই সম্ভবত বাংলাদেশ ভিত্তিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলোর মাধ্যমে হামলার ষড়যন্ত্র করছে এদেশে। স্বাধীনতা দিবসের আগে এমনিতেই ভারতের প্রায় সর্বত্র কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী থাকে। তবে তার আগে আইবি- র এমন অ্যালার্ট যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আর এবারের ভয় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে। কারণ সেখান থেকেই আসতে পারে বিপদ। গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, পূর্ব সীমান্ত দিয়ে আসতে পারে সন্ত্রাসীরা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। </p> <p>উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে হামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাও আবার স্বাধীনতা দিবসের দিন বা তার আগে, তাই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা সংরক্ষণ আন্দোলন ভয়াবহ আকার নিয়েছিল ছাত্র আন্দোলন অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই গণ আন্দোলনের রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল যে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে কার্যত পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। এরপর বাংলাদেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। অবস্থা ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। আর তার জেরেই পুরোদমে ময়দানে নামছে একের পর এক জঙ্গি সংগঠন। </p> <p>বাংলাদেশের বর্তমান দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং জামাত-এ-ইসলামি সমর্থিত সরকারের কারণে বিগত কয়েকমাসে একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে আইএসআই- এর হস্তক্ষেপও বেড়েছে। বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এবং জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আইএসআই তাদের কর্মকর্তাদেরও পাঠিয়েছে। চলতি বছরের পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কড়া নজর রয়েছ নিরাপত্তাবাহিনীর। আর তাই আইএসআই- এর নিশানায় রয়েছে পূর্ব সীমান্ত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে আইএসআই চাইবে বাংলাদেশ ভিত্তিকে কোনও জঙ্গি সংগঠন একটি বড়সড় হামলা চালাক। </p> <p>সবচেয়ে বেশি বিপদ আসতে পারে জেএমবি অর্থাৎ জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ- এই জঙ্গি সংগঠনের থেকে। কারণ এই জঙ্গি সংগঠন অসম এবং পশ্চিমবঙ্গেও অনেকদিন ধরেই সক্রিয়। সন্ত্রাসবাদ চালানোর একাধিক মডিউল এইসব রাজ্যে বেশ অনেকদিন ধরেই সক্রিয় রেখেছে জেএমবি। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক জঙ্গি সংগঠন যেমন হরকত-উল-জিহাদি ইসলামি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি। এই দুই জঙ্গি সংগঠনের জঙ্গিরা সাংঘাতিক পারদর্শী। বেশ বিপজ্জনকও। বিগত কয়েক মাসে উল্লিখিত জঙ্গি সংগঠনগুলি পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। আর তাই আইবি- র থেকে এই সতর্কতা পাওয়ার পর থেকেই তৎপর হয়েছে ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তার ব্যাপারে একটুও ফাঁক রাখতে রাজি নয় তারা। </p> <p>তথ্যসূত্র- আইএএনএস </p>
from india https://ift.tt/f92UB4H
via IFTTT
0 Comments