<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> প্রকাশ্যে জনসভায় ‘অব কি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। আবার গুজরাতের জনসভায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘আমার বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কি ইতি পড়েছে? রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে যেভাবে ভারতকে ‘শুল্ক শাস্তি’ দিয়ে চলেছেন ট্রাম্প, তাতে ঘুরে ফিরে উঠে আসছে এই প্রশ্নই। আর সেই আবহেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মোদি। (Donald Trump)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">দিল্লিতে আয়োজিত MS Swaminathan Centenary International Conference-এ বক্তৃতা করছিলেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “দেশের কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সবচেয়ে বড়। কৃষক, পশুপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে কখনও আপস করবে না ভারত। আমি জানি, ব্যক্তিগত ভাবে এর জন্য আমাকে বড় মূল্য চোকাতে হবে। কিন্তু আমি প্রস্তুত। দেশের কৃষক, মৎস্যজীবী, পশুপালকদের জন্য এই মূল্য চোকাতে প্রস্তুত আমি।” (Narendra Modi)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এম এস স্বামীনাথনকে ভারতে ‘সবুজ বিপ্লবে’র জনক বলা হয়। মোদি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে স্বামীনাথন যে কাজ করে গিয়েছেন, কৃষিবিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এবার সকলের জন্য পুষ্টি নিশ্চিতকরণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মোদির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আমেরিকার বাজারে ভারত থেকে কৃষিপণ্যও পৌঁছে যায়। ট্রাম্প যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন, তাতে ভারতের কৃষক, ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।</span></p> <blockquote class="twitter-tweet"> <p dir="ltr" lang="en"><a href="https://twitter.com/hashtag/BREAKING?src=hash&ref_src=twsrc%5Etfw">#BREAKING</a>: Prime Minister Narendra Modi says, "For us the interest of our farmers is our top priority. India will never compromise on the interests of farmers, fishermen and dairy farmers. I know we will have to pay a heavy price for it and I am ready for it. India is ready for… <a href="https://t.co/KZ4KYNTbeY">pic.twitter.com/KZ4KYNTbeY</a></p> — Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) <a href="https://twitter.com/AdityaRajKaul/status/1953315518204789179?ref_src=twsrc%5Etfw">August 7, 2025</a></blockquote> <p><span style="font-weight: 400;">আমেরিকার মসনদে দ্বিতীয়বার ফেরার পর থেকেই শুল্কের পাল্টা শুল্ক নীতি নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন ট্রাম্প। প্রথমে দাবি করেন, আমেরিকার পণ্যের উপর ভারত চড়া শুল্ক নেয়। তাই আমেরিকাও ভারতীয় পণ্যের উপর চড়া শুল্ক চাপাবে। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে দুই দেশ আলোচনাতেও বসে। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে থেকেই অন্য সুর গাইতে শুরু করেন ট্রাম্প। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে লাগাতার আক্রমণ করতে শুরু করেন। প্রথমে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান। জানান, নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য জরিমানাও দিতে হবে ভারতকে। সেই মতো বুধবার আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান ভারতের উপর। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">আমেরিকার ‘শুল্ক শাস্তি’কে ভারত যদিও অন্যায়, দ্বিচারিতা বলে উল্লেখ করেছে, কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি নেমে এসেছে, তার জন্য মোদি সরকারের ‘ব্যর্থ কূটনীতি’কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরাও। আমেরিকার উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর দাবিও করছেন কেউ কেউ। তবে ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।</span></p>
from india https://ift.tt/XMQCKiE
via IFTTT
0 Comments