<p><strong>পটনা :</strong> স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল । সেই রাগে তিন সন্তানকেই খুন করে দিল মহিলা ! তিন জনকেই কুয়োয় ফেলে খুন করে। এই অভিযোগে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিহারের সমস্তিপুর জেলার ঘটনা। অভিযুক্ত মহিলা বছর ৩৬-এর সীমা দেবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত তিন সন্তান হল- তরুণ (৬), তানিয়া (৪) ও তানিস্ক (২)।</p> <p>ওই মহিলার স্বামীর নাম চন্দন মাহাতা। এই দম্পতির সমস্তিপুরের মালনগর গ্রামে বাস। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম NDTV সূত্রে খবর, প্রথমে তিন সন্তানকে মারধর করে ওই মহিলা। পরে তাদের কুয়োয় ফেলে দেয়। এরপর স্বামীকে বলে, তিন সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন চন্দন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।</p> <p>এরপর ওই দম্পতির বাড়ির কাছে কুয়ো থেকে তিন সন্তানের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন, পুলিশ সীমা দেবীর কার্যকলাপে সন্দিহান হয়ে পড়ে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় ওই মহিলা। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।</p> <p><strong>একই রকমের ঘটনা আগেও !</strong></p> <p>গত বছর নভেম্বর মাসে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। চার মাসের যমজ সন্তান হাসান ও ফতিমাকে খুন করে এক মহিলা। রতলামের ঘটনা। পরে স্বীকারোক্তিতে, ওই মহিলা জানায়, সন্তানদের মানুষ করতে তাকে খুব কষ্ট করতে হচ্ছিল। অথচ তার স্বামী কোনও সাহায্য করেন না। যে কারণে এই অপরাধ করে সে। বারবার সে তার স্বামী আমির কুরেশির কাছে সাহায্য চাইছিল। কিন্তু, কোনও সাহায্য না মেলায় ওই মহিলা পাম্মি ওরফে মুসকান মনে মনে ঠিক করে নেয় যে, সন্তানদের খুন করলে হয়তো সমস্যার সমাধান হবে। </p> <p>গত বছর অগাস্ট মাসে বিহারে ঘটনা একটি ঘটনাও শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। বিহারের মুজফফরপুরে মিলেছিল ৩ বছরের এক শিশুকন্যার দেহ। একটি স্যুটকেসের মধ্যে বন্দি ছিল ওই শিশুর দেহ। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে মোড় ঘোরানো পর্দাফাঁস করে পুলিশ। শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগে খোদ ওই শিশুর মাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এনডিটিভির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পুলিশ জানিয়েছে যে ওই অভিযুক্ত মহিলা স্বীকার করেছে যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে ছিল সে। স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তার প্রেমিক শিশুকন্যাকে মেনে নিতে চায়নি, সেই কারণে নিজেই গলা কেটে মেয়েকে হত্যা করে ওই মহিলা এবং স্যুটকেসে দেহ রেখে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল- এমনটাই দাবি করে পুলিশ। </p>
from india https://ift.tt/eUbEFw2
via IFTTT
0 Comments