Narendra Modi: টানাপোড়েন কাটিয়ে বন্ধুত্বের আশ্বাস, বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে ইউনূসকে চিঠি মোদির

<p><strong>নয়াদিল্লি:</strong> পড়শি দেশে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে, যার প্রভাব পড়েছে পারস্পরিক সম্পর্কেও। সেই টানাপোড়েন সরিয়ে রেখেই এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস তথা জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখলেন তিনি। জানালেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। (Narendra Modi)</p> <p>ইউনূসকে পাঠানো চিঠিতে মোদি লেখেন, 'বাংলাদেশের জাতীয় দিবসে আপনাকে এবং দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানাই। আমাদের পারস্পরিক ইতিহাস, আত্মবলিদানের সাক্ষী হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ এই দিনটি, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিও। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা&nbsp; আজও আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে এগিয়ে চলেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা আরও বিকশিত হয়েছে, যাতে দুই দেশের মানুষই লাভবান হয়েছেন'। (Muhammad Yunus)</p> <p>গত বছর বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে যেমন সংঘাত দেখা দে, তেমনই সীমান্ত সংঘাতেও জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। কিন্তু সেই সংঘাতপর্ব পেরিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্যকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন মোদি। তাই ইউনূসকে মোদি লিখেছেন, 'পারস্পরিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে, পারস্পরিক সহানুভূতিশীলতা এবং স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা'।</p> <p>রাষ্ট্রপতি <a title="দ্রৌপদী মুর্মু" href="https://ift.tt/iHkEuZl" data-type="interlinkingkeywords">দ্রৌপদী মুর্মু</a>ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গণতান্ত্রিক এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে ভারতের তরফে পূর্ণ সমর্থন মিলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২৬ মার্চ দিনটি বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস তথা জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭১ সাল এই দিনেই পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা পায় বাংলাদেশ। ভুটানের পর ভারত দ্বিতীয় দেশ ছিল, যারা সেবছর ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্বে সিলমোহর দেয়। ওই দিনটিকে 'মৈত্রী দিবস' নাম দিয়েছেন মোদি, ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে।</p> <p>তবে গত কয়েক মাসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সেই বন্ধুত্বে ভাঁটা পড়ে। এই মুহূর্তে ঢাকার পরিস্থিতির দিকেও নজর রেখেছে দিল্লি। চলতি বছরেই বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়, বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র ফিরে আসে, তা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি।&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/aN9fLyx
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments