<p><strong>নয়াদিল্লি: </strong> কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর নাগরিকত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চার সপ্তাহের মধ্যে অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রাহুল ভারত এবং ব্রিটেনের নাগরিক বলে আগেই অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। কর্নাটক থেকেও একজন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা সেই নিয়ে মামলা করেন। সেই নিয়েই এবার কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল আদালত। (Rahul Gandhi's Citizenship)</p> <p>এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলছিল। আগামী ২১ এপ্রিল বিচারপতি এআর মাসুদি এবং অজয়কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে ফের শুনানি রয়েছে মামলাটির। তার আগেে রাহুলের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালেত জমা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলে আদালত সেই মতো এগোবে বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র যদিও আট সপ্তাহ সময় চেয়েছিল। (Rahul Gandhi News)</p> <p>রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক সেই ২০০৪ সাল থেকে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই মামলাটি কর্নাটকের বাসিন্দা ভিগ্নেশ শিশির দায়ের করেন। তিনি পেশায় আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি, বিজেপি-রও নেতা বলে জানা যাচ্ছে। ভিগ্নেশের দাবি, রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI-এর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভিগ্নেশ। </p> <p>ভিগ্নেশের দাবি, কিছু গোপন ইমেল তাঁর হাতে এসেছে, যা ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে এসেছে। তাঁর কথায়, "ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে আমাদের। ব্রিটেনের নাগরিক রেকর্ডে রাহুলের নাম রয়েছে। সমস্ত নথিপত্র রয়েছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, দ্বৈত নাগরিকত্ব বৈধ নয় এদেশে। একবার অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিলে, তাঁর ভারতের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যায়।" তিনি রাহুলের নাগরিকত্ব এবং লোকসভার সাংসদ পদ বাতিলের দাবি তুলেছেন। এর আগে দু'দু'বার কেন্দ্রকে জানালেও, সেখান থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভিগ্নেশ।</p> <p>গত বছর নভেম্বর মাসে শুনানি চলাকালীনই, বিচারপতি রাজন রায় এবং বিচারপতি ওমপ্রকাশ শুক্লর বেঞ্চ কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রকে সময় দেওয়া হয় তিন সপ্তাহ। সেই আবহেই গত মাসে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রের জবাব চেয়ে পাঠায়। সেখানে আবার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দায়ের করা মামলার শুনানি চলছিল। ২০১৫ সালে স্বামীই প্রথম রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে সরব হন। </p> <p>স্বামীর দাবি, ২০০৩ সালে একটি ব্রিটিশ সংস্থার প্রতিষ্ঠা হয়। ছ'বছর পর আবার উঠেও যায় সংস্থাটি। সেই সংস্থার রেকর্ডে রাহুলকে ব্রিটেনের নাগরিক বলেি উল্লেখ করা ছিল। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকেও চিঠি দেন স্বামী। যদিও কংগ্রেস বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। রাহুল ভারতীয় ছাড়া অন্য কিছু নন বলে দাবি করে হাতশিবির। দাদার হয়ে মুখ খোলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। তাঁর বক্তব্য ছিল, "প্রত্যেকে জানেন রাহুল গাঁধী ভারতীয়, এখানে জন্মেছেন, এখানে বড় হয়েছেন।" এই গোটা বিতর্কে রাহুলের বক্তব্য, "আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।"</p> <p>আইন অনুযায়ী, কোনও ভারতীয় একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিক হতে পারেন না। স্বেচ্ছায় যদি অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন কেউ, সেক্ষেত্রে তাঁর ভারতের নাগরিকত্ব বাতিল যায়। পাশাপাশি OCI Programme-ও রয়েছে। এর আওতায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেউ অন্য দেশের (পাকিস্তান, বাংলাদেশ ছাড়া) বাসিন্দা হলেও, কিছু সুযোগ-সুবিধা পান যেমন, আজীবন বিনামূল্যে ভিসা, অর্থনীতি, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবাসীদের মতো সুযোগসুবিধা এবং দীর্ঘ সময় পুলিশের কাছে গিয়ে রিপোর্ট না করলেও চলে। তবে তাঁদের ভোটাধিকার থাকে না, ভোটে দাঁড়াতেও পারেন না, কোনও সাংবিধানিক পেদ আসীন হতে পারেন না।</p> <div class="text-formatted field field--name-body field--type-text-with-summary field--label-hidden field__item"> </div>
from india https://ift.tt/zqItZlx
via IFTTT
0 Comments