<p><strong>রামপুর:</strong> প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীতে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও অধরা কয়ের জন অভিযুক্ত। সেই আবহেই ফের ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশ থেকে। এবার ১১ বছরের মূক ও বধির কন্যাকে ধর্ষণ এবং তার উপর নৃশংস অত্যাচার চালানোর অভিযোগ সামনে এল। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতনের শিকার ওই মেয়েটি। (Minor Girl Assaulted in UP)</p> <p>উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল ১১ বছরের মূক ও বধির মেয়েটি। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় মাঠে পড়ে থাকতে দেখা যায় মেয়েটিকে তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মেয়েটিকে। উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মেরঠে। (Uttar Pradesh News)</p> <p>এই ঘটনায় নাবালিকাকে ধর্ষণের FIR দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের করা হয়েছে POCSO ধারাতেও। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ২৪ বছর বয়সি দান সিংহ নামের এক যুবককে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। নির্যাতিতার গ্রামেই বাস ওই যুবকের। হেফাজতে নিতে গেলে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে তার পায়ে গুলি লাগে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। </p> <p>নির্যাতিতাকে পরীক্ষা কর দেখেন যে চিকিৎসক, তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পরিষ্কার ধর্ষণ করা হয়েছে। এক বা একাধিক জন যুক্ত থাকতে পারে। মেয়েটির যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে মুখে আঘাত করা হয়। মুখ পুরো ফুলে গিয়েছে। এতটাই সন্ত্রস্ত মেয়েটি যে চোখেমুখে তা ফুটে উঠেছে। এমন যৌন নির্যাতনের ঘটনা আগে দেখেননি বলেও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। </p> <p>রামপুরের পুলিশ প্রধান বিদ্যাসাগর মিশ্র জানিয়েছেন, মেয়েটির মা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, মেয়ে কথা বলতে পারে না, শুনতেও পারে না। তার উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।</p>
from india https://ift.tt/y9csuEH
via IFTTT
0 Comments