<p><span style="font-weight: 400;"><strong>বারাণসী:</strong> নয় নয় করে এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। বারাণসী গণধর্ষণকাণ্ডে এখনও অভিযুক্ত সকলের নাগাল মেলেনি। বরং তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে সরানো হয়েছে পুলিশ অফিসারকে। আর সেই আবহেই নির্যাতিতা কিশোরীর শরীরে Hepatitis B Positive সংক্রমণ ধরা পড়ল। HIV পরীক্ষাও করানো হয়েছে তাঁর। (Varanasi Victim Hepatitis B Positive)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। ১৯ বছর বয়সি কিশোরীকে অপহরণের পর, ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ দায়ের হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী। তিনিও সম্প্রতি মামলার ব্যাপারে খোঁজ নেন, দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন। আর সেই আবহেই নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগজনক খবর সামনে এল। (Varanasi Girl Assaulted)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">জানা গিয়েছে, শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন নির্যাতিতা। খাবারে রুচি নেই একেবারে। সেই সঙ্গে পেটের যন্ত্রণাও হচ্ছিল। শুক্রবার বারাণসী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানে পরীক্ষা করাতেই তাঁর শরীরে Hepatitis B Positive সংক্রমণ ধরা পড়েছে। HIV পরীক্ষাও করানো হয়েছে। সেই পরীক্ষার প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ। অন্য একটি রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এই মুহূর্তে স্যর সুন্দর লাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নির্যাতিতা। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে কিশোরীর শরীরে মাদক প্রয়োগ করা হয়েছিল, তা থেকে সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে, অথবা যৌন নির্যাতনের ফলে সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন নির্যাতিতা। মেয়ে এখন ভাল আছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি ১০ জন অধরা। ধৃতদের রাজ বিশ্বকর্মা, আয়ুষ ধূসিয়া, কে সাজিদ, মহম্মদ শাহবাজ, মহম্মদ রজা, জাহিদ খান, রেহান, সুহেল শেখ, দানিশ আলি, ইমরান আহমেদ, সোহেল খান এবং আনমোল গুপ্ত, শব্বীর আলম নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। ৫০টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত। ১০০-র বেশি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ধৃতদের নাগাল মেলে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">গত সপ্তাহে বারাণসীতে ৫০তম সফরে যান মোদি। নাবালিকার উপর নির্যাতনের তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তাও জানতে চান। বারাণসীর পুলিশ কমিশনার এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সেই নিয়ে তথ্য দেন তাঁকে। আর তার পরই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সিনিয়র IPS অফিসার তথা ডেপুটি কমিশনার চন্দ্রকান্ত মীনাকে তদন্ত থেকে সরানো হয়।</span></p> <p>পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দফায় দফায় গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। চালানো হয় যৌন নির্যাতন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বন্ধুই তাঁকে পিশাচমোচনের একটি হুক্কাবারে নিয়ে যায়। সেখানে একে বাকিরা এসে পৌঁছয়। ঠান্ডা পানীয়তে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এর পর আজ এই হোটেলে, কাল ওই হোটেলে তাঁকে বার বার ধর্ষণ করা হয়।</p> <p>প্রায়শই ওই বন্ধুর বাড়িতে যেতেন নির্যাতিতা। কিন্তু গত ২৯ মার্চ বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় সাত দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল শেষ পর্যন্ত পাণ্ডেপুর ইন্টারসেকশনে খোঁজ মেলে। মাদক খাইয়ে তাঁকে সেখানে দুষ্কৃতীরা ফেলে গিয়েছিল বলে জানা যায়। সেখান থেকে বন্ধুই বাড়ি ফিরিয়ে আনে তাঁকে। মেয়েকে না পেয়ে ওই দিনই নিখোঁজ বলে ডায়েরি করেছিল পরিবার। মেয়ে বাড়ি ফেরার পর ৬ এপ্রিল থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের হয়।</p> <p>জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরে বাবাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন ওই তরুণী। জানান, বাড়ি থেকে বেরনোর পর তাঁকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। সাত দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ২২-২৩ জন। কখনও হুক্কাবার, কখনও হোটেল, কখনও লজ, কখনও তোলা হয় গেস্ট হাউসে। মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার গণধর্ষণ (৭০-১), শ্লীলতাহানি (৭৪), বিষপ্রয়োগ বা ক্ষতিকর দ্রব্য প্রয়োগ (১২৩), গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ (১২৬-২), অপরাধমূলক ভাবে বন্দি করে রাখা (১২৭-২) অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ৩৫১-২) ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।</p>
from india https://ift.tt/XrfcL4b
via IFTTT
0 Comments