<p><strong>জয়পুর:</strong> রাজস্থানে সরকারি হাসপাতালে রোগিণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালের এক নার্সিং স্টাফ তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তাঁকে। তার পর ঘটানো হয় অপরাধ। যে সময় তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চলে, সেই সময় ওয়ার্ডের ঠিক বাইরেই পরিবারের লোকজন অপেক্ষা করছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। </p> <p>গত ৪ জুন রাতে, বিজেপি শাসিত রাজস্থানের আলওয়ারের ESIC Medical College-এ এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যাচ্ছে। ৩২ বছর বয়সি নির্যাতিতা ICU-তে ভর্তি ছিলেন। সেখানে এক নার্সিং স্টাফ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অচৈতন্য ভাব কাটলে নির্যাতিতা চিৎকার করতে থাকেন। সেই সময় তাঁর স্বামীকে ডেকে পাঠান হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁর শয্যা সেই সময় চারিদিক থেকে পর্দায় ঘেরা ছিল। স্বামী যখন এসে পৌঁছন, তখনও কার্যত ঘোরে ছিলেন ওই মহিলা। </p> <p>পরদিন সকালে পুরোপুরি হুঁশ ফেরে ওই মহিলার। পরিবারের কাছে সব কথা খুলে বলেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। আলওয়ারের ASI মহাবীর সিংহ বলেন, "এক ব্যক্তি এফআইআর দায়ের করেন। তিনি জানান, ৩২ বছর বয়সি তাঁর স্ত্রী হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তাঁকে এক নার্সিং স্টাফ ধর্ষণ করে।"</p> <p>জানা যাচ্ছে, পর্দা টাঙিয়ে নির্যাতিতার শয্যা ঘিরে ফেলে অভিযুক্ত। এর পর ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। সেই অবস্থায় যৌন অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপর। কিছু যে একটা ঘটছে তা বুঝতে পারেন ওই মহিলা। তিনি বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। এর পর স্বামীর নাম ধরে ডাকতে থাকেন তিনি। স্বামীকে ডেকে আনা হলেও, সেই সময় কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না ওই মহিলা। কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত ঘুমিয়ে পড়েন।</p> <p>ঘটনার সময় ওয়ার্ডে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী, আর এক মহিলা রোগীর স্বামীও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। নার্সিং স্টাফ অন্যায় কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেই ছুটে যান নির্যাতিতার স্বামী। কিন্তু হাসপাতালের তরফে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। অভিযুক্ততে দিয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। কিন্তু বিষয়টি অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পৌঁছে যায়, আর তাতেই পদক্ষেপ করে পুলিশ। </p> <p>নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সরাসরি অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছেন ওই মহিলা। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাসপাতালের ডিন অসীম দাস জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার পরই তদন্তকারী দল গঠন করা হয় তাঁদের তরফে। শীঘ্রই রিপোর্ট জমা পড়বে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও গোড়ায় তাঁরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবার।</p>
from india https://ift.tt/qgTZxcl
via IFTTT
0 Comments