Supreme Court: সরকারি বাংলো আটকে রেখেছেন প্রাক্তন CJI? ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। হারিয়েছেন সরকারি বাসভবনে থাকার অধিকারও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তার পরও সরকারি বাংলো দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চিঠি লিখল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অবিলম্বে ওই বাংলো খালির ব্যবস্থা করতে হবে এবং শীর্ষ আদালতের বর্তমান বিচারপতিদের জন্য সেটিকে বরাদ্দ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।&nbsp; (DY Chandrachud)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইকে নিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতির সংখ্য়া ৩৩। নির্ধারিত ৩৪ বিচারপতির মধ্যে এক জন কম। এর মধ্যে চারজন বিচারপতির জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও বাড়ি বরাদ্দ করা যায়নি। তাঁদের মধ্যে তিন জন আদালতের ট্রানজিট আবাসনে রয়েছেন এই মুহূর্তে। একজন রয়েছেন অতিথিশালায়। এমন পরিস্থিতিতে, কৃষ্ণ মেনন মার্গে অবস্থিত বাংলো নং. ৫, যা প্রধানবিচারপতির জন্য বরাদ্দ হয়, প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড় সেটি এখনও কেন দখল করে রেখেছেন, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। (Supreme Court)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নে প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়। সরকারি আইন অনুযায়ী, পদে আসীন থাকাকালীন একজন বিচারপতির টাইপ-৮ বাংলো প্রাপ্য। অবসর নেওয়ার পর টাইপ-৭ বাংলো দেওয়া হয় তাঁকে। সেখানে ছ&rsquo;বাস বিনামূল্যে থাকতে পারেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের পর ছ&rsquo;মাসের বেশই সময় কেটে গেলেও, চন্দ্রচূড় বাংলোটি ছাড়েননি বলে অভিযোগ। চন্দ্রচূড়ের উত্তরসূরী, প্রাক্তন CJI সঞ্জীব খন্না সরকারি বাংলো নেননি। বর্তমান CJI গাভাইও সেই পথেই হেঁটেছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেন কেউ বাংলো দখল করে রাখবেন, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে আদালত।&nbsp;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">গত ১ জুলাই সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে চিঠি পাঠানো হয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে। অবিলম্বে বাংলোটি খালি করতে বলা হয়। চিঠিতে লেখা হয়, &lsquo;কোনও দেরি না করে, প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়ের কাছ থেকে অবিলম্বে কৃষ্ণ মেনন মার্গে অবস্থিত ৫ নম্বর বাংলোটির দখল নিন। ৩১ মে পর্যন্ত বাংলোটি ধরে রাখার যে সময়সীমা ছিল, তা পেরিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, ৩বি বিধির আওতায় ১০ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছ&rsquo;মাসের সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে&rsquo;।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাংলো ধরে রাখার নেপথ্যে ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়। তাঁর দাবি, সরকারের তরফে ভাড়ায় নেওয়া বিকল্প&nbsp; বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাঁকে। কিন্তু সেখানে মেরামতি এবং সংস্কারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেকথা আদালতকে জানিয়েওছিলেন তিনি। প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, &ldquo;বিকল্প ভাড়াবাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাড়িটি দু&rsquo;বছর ধরে বন্ধ পড়েছিল। সেখানে সংস্কারের কাজ চলছে। সুপ্রিম কোর্টকে সেকথা জানিয়েছিলাম। ওই বাড়ির কাজ শেষ হলে, পরদিনই বাংলো ছেড়ে দেব বলে জানিয়েছিলাম আমি।&rdquo; বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুই কন্যার জন্য উপযুক্ত বাড়ি খুঁজতে সময় লাগে এবং সেই জন্য দেরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">দুই মেয়েকে নিয়ে প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড় বলেন, &ldquo;বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুই মেয়ে আছে আমার। গুরুতর কোমর্বিডিটিজ রয়েছে ওদের, জিনগত কিছু সমস্যা রয়েছে-বিশেষ করে নেমালিন মায়োপ্যাথি। AIIMS-এ চিকিৎসাও চলছে ওদের। বুঝতে পারছি, এগুলো আমার ব্যক্তিগত সমস্যা। কিন্তু কেন দেরি হচ্ছে, তা পরিষ্কার ভাবে বোঝাতে চাইছি। আদালতকেও একথা জানিয়েছি। আর কিছুদিনের ব্যাপার, আমি চলে যাব। সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলাম আমি, নিজের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অবগত সম্পূর্ণ ভাবে। অতীতে অন্য বিচারপতিদের নির্ধারিত সময়ের পরও বাসভবন ধরে রাখতে দেওয়া হয়েছে।&rdquo;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;"><a title="সুপ্রিম কোর্ট" href="https://ift.tt/F2SL8BN" data-type="interlinkingkeywords">সুপ্রিম কোর্ট</a>ের চিঠিতে বলা হয়েছে, অবসর গ্রহণের এক মাস পরই নিজের উত্তরসূরীকে আবেদন জানান প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়। সেখানে ৩০ মে পর্যন্ত বাংলোটি ধরে রাখার আর্জি জানান তিনি। সেই মতো ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাসিক ৫৪৩০ টাকা ভাড়ায় বাংলোটিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় তাঁকে। মৌখিক ভাবে করা সেই আবেদনে সায় দেন প্রাক্তন CJI খন্না। কিন্তু সেই বাড়তি সময়ের মেয়াদও শেষ। তাই আর দেরি করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত।</span></p>

from india https://ift.tt/SbM0LtC
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments