<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি: </strong>ঐক্যমত্য তৈরি না হওয়ায় বৈঠক এগোয়নি বেশিক্ষণ। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানো যায়নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। সেই আবহে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে ফের মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, তেলের গ্রাহক হিসেবে ভারত ইতিমধ্যেই সরে গিয়েছে রাশিয়ার পাশ থেকে। পাশাপাশি, আরও চড়া শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারিও দিলেন ট্রাম্প। (Donald Trump-Vladimir Putin Meet)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি-সহ একাধিক ইস্যুতে আলাস্কায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ট্রাম্প ও পুতিন। সাত ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলবে বলে ঠিক হলেও, মাত্রা আড়াই ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় সেই বৈঠক। তাঁদের মধ্যে যে ঐক্যমত্য তৈরি হয়নি, সেকথা মেনে নেন ট্রাম্প এবং পুতিন, দুই রাষ্ট্রনেতাই। এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল ভারতেরও। কারণ রাশিয়ার থেকে তেল কিনে ভারত যুদ্ধে মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। ভারতের উপর ৫০ শতাংশ হারে ‘শুল্ক শাস্তি’ও চাপিয়েছেন তিনি। (US Tariff on India)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">আশা ছিল, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে সেই নিয়ে সুর নরম করবেন ট্রাম্প। বৈঠক শেষে সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বস্ত গ্রাহক হারিয়েছে ওরা (রাশিয়া), যা হল ভারত।</span> ভারত ওদের ৪০ শতাংশ তেল কিনছিল। চিনও অনেক তেল কিনছে। আমি ফের নিষেধাজ্ঞা চাপালে, বিপর্যয় ঘটবে। চাপাতে হলে ফের চাপাব, অতদূর হয়ত যেতে হবে না আমাকে।”</p> <blockquote class="twitter-tweet"> <p dir="ltr" lang="en">BREAKING: Trump claims his tariffs forced India to stop buying Russian oil<br /><br />“Russia lost a major client for their oil, which was India. India was doing 40% of the oil trade. If I did secondary sanctions now, that would be devastating for them,” Trump says in an interview <a href="https://t.co/7fjbXNpttg">pic.twitter.com/7fjbXNpttg</a></p> — Shashank Mattoo (@MattooShashank) <a href="https://twitter.com/MattooShashank/status/1956529306965868691?ref_src=twsrc%5Etfw">August 16, 2025</a></blockquote> <p><span style="font-weight: 400;">নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য দু’দফায় ২৫ করে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল আমদানি করে আসছে ভারত, যা নিয়ে গোড়া থেকেই দিল্লিকে সতর্ক করে আসছিল আমেরিকা এবং পশ্চিমের অন্য দেশগুলি। আমেরিকার দাবি, ভারতকে তেল বিক্রির টাকাতেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। ফলে ভারত তেল কেনা বন্ধ করলেই যুদ্ধবিরতি ছাড়া উপায় থাকবে না রাশিয়ার কাছে। যে কারণে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের আগে আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট আরও শুল্কের হুঁশিয়ারি দেন। শুধু তাই নয়, ভারতের থেকে পণ্য কেনা বন্ধ করতে হবে বলে ইউরোপের দেশগুলিকে আর্জি জানান তিনি।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার আরও একটি বড় কারণ রয়েছে। আমেরিকার কংগ্রেসে একটি বিল পস হওয়ার মুখে, যার আওতায় রাশিয়াকে রুখতে যে কোনও দেশের উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক চাপাতে পারেন ট্রাম্প। সেই বিলে অনুমোদন মেলার আগে যদি আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে দিল্লি। কিন্তু তা যদি না হয়, সেক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকার বাজারে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশের ব্যবসায়ীরা, রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কেনা যাবে না, প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি। সেই নিয়ে সদর্থক আলোচনা হলেও, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হননি পুতিন। বরং তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের এহেন আচরণে যে সন্তুষ্ট নন তিনি, তা ট্রাম্পের কথা থেকেই স্পষ্ট। তবে সরাসরি পুতিনের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলেননি তিনি। বরং যুদ্ধবিরতির নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কির কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন। তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">NATO-র সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু পুতিনের শর্তাবলী তুলে ধরা ছাড়া এই মুহূর্তে তাঁর কিছু করার নেই বলে মত কূটনীতিকদের একাংশের। আর তাই আমেরিকা ও রাশিয়ার সমীকরণের দিকেই এই মুহূর্তে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এর উপর ভারতের ভাগ্যও নির্ভর করছে অনেকাংশে।</span></p>
from india https://ift.tt/vjQVL5P
via IFTTT
0 Comments