Husband Murdered Wife: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী'কে খুন, দেহাংশ টুকরো করে নদীতে ফেলল স্বামী, ঘরেই লুকিয়ে রাখা ধড়

<p>Husband Murdered Wife:&nbsp;৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেছেন স্বামী। নৃশংস ভাবে খুনের পর তরুণীর দেহ টুকরো করে কেটেওছেন। তারপর ফেলতে গিয়েছেন নদীতে। সেই সময়েই অভিযুক্ত পুলিশের নজরে আসে এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হায়দরাবাদের মেদিপল্লীর এক শহরতলি এলাকা বালাজি হিলসে ঘটেছে এই সাংঘাতিক ঘটনা। ধৃত ব্যক্তির নাম মহেন্দ্র। কেন তিনি এই ভয়ানক কাণ্ড ঘটালেন তা জানতে ধৃতকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ।&nbsp;</p> <p>লাভ ম্যারেজ হয়েছিল স্বাতী এবং মহেন্দ্রর। তাঁরা দু'জনেই হায়দরাবাদের ভিকারাবাদ জেলার কামারেড্ডিগুডার বাসিন্দা। বিয়ের পর থাকতে শুরু করেন বালাজি হিলসে। পুলিশ সূত্রে খবর, মহেন্দ্র একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে স্বাতীর দেহাংশ নিয়ে গিয়েছিলেন মাটিতে পুঁতে দেওয়ার জন্য। তবে কিছু আওয়াজ শুনে এলাকার মানুষ টের পেয়ে যান। কী হয়েছে দেখতে গিয়ে তাঁদের নজরে আসে ওই প্যাকেট এবং তার মধ্যে থাকা স্বাতীর দেহাংশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মহেন্দ্রকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয়েছিল মহেন্দ্র এবং স্বাতীর। ওই বছর এপ্রিল মাসেই গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় নালিশ জানান স্বাতী। গত ২২ অগস্ট ঝগড়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। ডাক্তার দেখানোর পর বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন স্বাতী। রাজি হননি মহেন্দ্র। শুরু হয় ঝগড়া। তারপরই স্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেন মহেন্দ্র। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এইসব তথ্য।&nbsp;</p> <p>পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির কাছে মুসি নদীতে স্বাতীর বেশ কিছু দেহাংশ যেমন- মা, হাত এবং পা ফেলে দিয়েছিল। বাকি দেহাংশ লুকিয়ে রেখেছিল নিজের বাড়িতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেন্সিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শুধুমাত্র মৃতার ধড় পাওয়া গিয়েছে। শনাক্তকরণের জন্য একটি ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ কর্তা। ওই পুলিশকর্তা আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংবিধানের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দ্রুত তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যে ধড়টি পাওয়া গিয়েছে, তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।&nbsp;</p> <p>শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতের বয়স ২৭ বছর। একটি সংস্থার (ride hailing company) ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন মহেন্দ্র। পারিবারিক সমস্যার জেরে স্ত্রী স্বাতীর সঙ্গে হামেশাই ঝগড়া, ঝামেলা হত মহেন্দ্রর। আর সেই কারণেই শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য স্ত্রী'র দেহ ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে টুকরো টুকরো করে কেটেছেন মহেন্দ্র। এরপর নদীতে ফেলেছেন স্ত্রীর দেহাংশ, মাথা এবং হাত-পা। বাকি ধড় লুকিয়ে রেখেছিলেন ঘরেই। পুলিশ এমনটাই জানিয়েছেন।&nbsp;</p> <p>আলাদা আলাদা প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে স্বাতীর দেহাংশ নিয়ে তিনবার নদীর কাছে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র, সেগুলিকে ফেলতে, জানিয়েছে পুলিশ। তারপর মহেন্দ্র নিজের বোনকে খবর দেন যে স্বাতী নিখোঁজ। সন্দেহ হওয়ায় মহেন্দ্রর দিদি তাঁদের আরেক আত্মীয়কে ঘটনাটি জানান। সেই ব্যক্তি মহেন্দ্রকে নিয়ে যান থানায়। সেখানেও খুনের কথা উচ্চবাচ্য না করে স্ত্রী নিখোঁজ এমনটাই বলেন মহেন্দ্র। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মহেন্দ্রর কুকীর্তির কথা ফাঁস হয়ে যায় বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশের দাবি, স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন মহেন্দ্র। খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। বাকি দেহাংশের খোঁজেও জারি রয়েছে তল্লাশি।&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/dacqjxp
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments