<p><span style="font-weight: 400;"><strong>ওয়াশিংটন:</strong> রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে ‘শুল্ক শাস্তি’ দিয়েছেন। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই চলতি সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সুর নরমের কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছেন না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং তাঁর দাবি, ভারতের উপর চড়া শুল্ক চাপানোয় জোর ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি। কারণ ভারতই মস্কোর চেয়ে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিন কোনও রা কাড়ছেন না। তাই ভারতের উপর শুল্ক চাপিয়ে ট্রাম্প কি রাশিয়ার রাশিয়ার চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন? (India-US Relations)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার অর্থনীতি একেবারেই ভাল নয়। আমেরিকার শুল্কনীতি এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বেসামাল তারা। ট্রাম্পের বক্তব্য, “আমার মনে হয়, রাশিয়ার দেশ গঠনে মন দেওয়া উচিত। অনেক বড় দেশ। প্রভূত সম্ভাবনাও রয়েছে রাশিয়ার। ওদের অবস্থা মোটে ভাল নয়। এর (শুল্ক নীতি) ফলে জোর ধাক্কা খেয়েছে।” (Donald Trump)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ভারতকে রাশিয়ার তেলের ‘বৃহত্তম বা দ্বিতীয় বৃহত্তম’ ক্রেতা বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ভারতের উপর শুল্ক বসানোয়, রাশিয়া চাপে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যখন তাদের বৃহত্তম বা দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলের ক্রেতাকে বলে, ‘রাশিয়ার থেকে তেল কিনলে তোমাদের ঘাড়ে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপবে’ সেক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না। জোর ধাক্কা খেয়েছে।”</span></p> <blockquote class="twitter-tweet"> <p dir="ltr" lang="en">Trump says telling Russia’s Second largest oil buyer (India) about a 50% tariff was a “big blow” to Moscow’s struggling economy.<br /><br />Does that mean- to get Russia agree to Trump's mediation deal with Ukraine, he imposed 50% tarrifs on India? <a href="https://t.co/uhYFcEyYoY">pic.twitter.com/uhYFcEyYoY</a></p> — Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) <a href="https://twitter.com/MeghUpdates/status/1954981860360196403?ref_src=twsrc%5Etfw">August 11, 2025</a></blockquote> <p><span style="font-weight: 400;">সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহের শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে ট্রাম্পের। এতকিছুর পরও পুতিন যে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমেরিকা আসছেন, তা নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যে আমাদের দেশে আসছেন, আমার মনে হয়, উনি সম্মান বজায় রেখেছেন। আমরা ওদের কাছে যাওয়ার থেকে, কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের চেয়ে এটা ভাল। আশা করি গঠনমূলক আলোচনাই হবে।” রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সপক্ষে তিনি যে সওয়াল করবেন, তাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি, যাতে পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে শান্তি-বৈঠকের আয়োজন করা যায়।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর কারণ হেতু আগেও রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি ছিল, রাশিয়ার থেকে ভারতই সবচেয়ে বেশি তেল কেনে। আর সেই তেল বিক্রির টাকাতেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে যুদ্ধে ভারতও মদত জোগাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। চড়া শুল্ক চাপানোর পর ভারত পিছু হটলে, রাশিয়ার অর্থনীতি যে ধাক্কা খাবে, ট্রাম্প আবারও তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন। আর তাই প্রশ্ন উঠছে, ভারতের উপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে, আসলে কি রাশিয়ার উপর চাপ বাড়ালেন ট্রাম্প? দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের মাঝে ভারত খামোকা বলি হল কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">যুদ্ধবিরতিতে তিনি যে অভিজ্ঞ, তা আবারও সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পাঁচটি যুদ্ধের সমাধান ঘটিয়েছেন তিনি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিকতম সংঘাতও তাঁর মধ্যস্থতাতেই থেমেছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। ভারত যদিও বরাবরই তাঁর এই দাবি খারিজ করেছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতায় কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই বলে দাবি দিল্লির।</span></p>
from india https://ift.tt/g9hC1Ws
via IFTTT
0 Comments