Espionage: ভারতীয় সিমকার্ড আইএসআই-কে পাচার করার অভিযোগ, দিল্লি থেকে গ্রেফতার নেপালের বাসিন্দা

<p>Espionage: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে। সাংবাদিকতার জগতে কাজও দেওয়া হবে। এইসব প্রলোভন দেখিয়েই এক নেপালি ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই- এর বিরুদ্ধে। এই লোভের ফাঁদে পা দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থাকে ভারতীয় সিম কার্ডের জোগান দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে নেপালের ওই নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে এই ব্যক্তিকে। অভিযোগ, তার দেওয়া ভারতীয় সিম কার্ডের মাধ্যমে আইএসআই চরবৃত্তির কাজ করত।&nbsp;</p> <p>দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম প্রভাব কুমার চৌরাসিয়া। নেপালের বীরগঞ্জের বাসিন্দা তিনি। দিল্লির লক্ষ্মী নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৮ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছে এই নেপালি নাগরিককে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের ডিএসপি অমিত কৌশক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমেরিকায় ভিসা এবং চাকরি পাওয়ার লোভে ভারতীয় সিম কার্ডের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ডিআরডিও এবং সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে সেনসিটিভ তথ্য সংগ্রহের কাজ কররে রাজি হয়েছিল নেপালের ওই বাসিন্দা।</p> <p>পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি আধার কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিকম কোম্পানির অন্তত ১৬টি সিম কার্ড কিনেছিলেন। প্রথমে এইসব সেইম নেপালে পাঠাতেন প্রভাব কুমার চৌরাসিয়া। তারপর সেখান থেকে এইসব সিম কার্ড পাচার করা হয় আইএসআই অপারেটিভদের হাতে। নিজের বিবৃতিতে এইসব তথ্যও জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের ডিএসপি অমিত কৌশিক। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এর মধ্যে ১১টি সিম কার্ড সক্রিয় অবস্থায় দেখা গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। লাহোর, বাহাওয়ালপুর এবং পাকিস্তানের আরও অন্যান্য জায়গায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এইসব সিম চালনা করত আইএসআই হ্যান্ডলাররা। এর সাহায্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির কাজেও ব্যবহার হতো। গ্রেফতারের সময় নেপালের ওই ব্যক্তির থেকে বিভিন্ন ডিজিটা ডিভাইস এবং অসংখ্য সিমের খাম।&nbsp;</p> <p>পুলিশ জানিয়েছে, চৌরাসিয়া নেপালের নাগরিক। পড়াশোনা করেছেন নেপালে এবং বিহারে। বিএসসি ডিগ্রি পেয়েছেন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে। ডিপ্লোমা করেছেন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্কিংয়ে। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি জুড়ে একটা বড় অংশের সেলস ম্যানেজার এবং মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসেবে কাজ করতেন এই ব্যক্তি। আপাতত চৌরাসিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করলে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় রুজু হয়েছে মামলা।&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/2BQSWjf
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments