<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে চিন। নিজের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পরীক্ষা করার পাশাপাশি, তা নিয়ে জোর প্রচার চালিয়েছে তারা। বার্ষিক রিপোর্টে এমনটাই জানাল আমেরিকার দ্বিদলীয় কমিশন। (India-Pakistan Conflict)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মঙ্গলবার <a href="https://www.uscc.gov/" target="_blank" rel="noopener">US-China Economic and Security Review Commission</a>-এর তরফে ওই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে আমরিকার ওই দ্বিদলীয় কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতও পাকিস্তানের মধ্য়ে চারদিনের সংঘাত পর্বে নিজেদের উদ্দেশ্যসাধনে ব্যবহার করেছে চিন। নিজেদের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা, তা নিয়ে প্রচারও করেছে। ভারতের সঙ্গে তাদের সীমান্ত সংঘাত এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে যে লক্ষ্য রয়েছে, দুই-ই সার্থক হয়েছে এক্ষেত্রে। (US on China)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘এই সংঘাতেই প্রথমবার চিনের অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে ছিল HQ-9 Air Defence System, PL-15 Air to Air Missile এবং J--10 যুদ্ধবিমান। একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রে সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ পেয়ে যায়’।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ভারত ও পাকিস্তানের ওই সংঘাতপর্বের পরই জুন মাসে পাকিস্তানকে ফিফথ জেনারেশন 40 J-25 যুদ্ধবিমান, KJ-500 যুদ্ধবিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেয় চিন। শুধু তাই নয়, কয়েক সপ্তাহ পরই ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতে নিজেদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে চিনা দূতাবাস। অস্ত্র বিক্রির উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মে মাসে যে সংঘাত বাঁধে, সেটিকে চিনের ‘ছায়াযুদ্ধ’ বলে মানতে রাজি হয়নি আমেরিকার দ্বিদলীয় কমিটি। তাদের মতে চিনকে ‘উস্কানিদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা অতিরঞ্জিত হয়ে যাবে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">শুধু নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র পরীক্ষাই নয়, ফ্রান্সোর দাসোঁর তৈরি, ভারতের হাতে থাকা ‘রাফাল’ যুদ্ধবিমান সম্পর্কে চিন নেতিবাচক প্রচার চালায়, ভুল তথ্য় ছড়ায় বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টটিতে।ফ্রান্সের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য় উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ফরাসি গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নিজেদের J-35 যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে রাফাল সম্পর্ক অপপ্রচার শুরু করে চিন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে AI দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও গেমের দেখিয়ে রাফালের ধ্বংসাবশেষ বলে পেশ করা হয়’। জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া ফ্রান্সের থেকে রাফাল কিনতে উদ্যত হলে, তাদেরও মত পরিবর্তনে বাধ্য করে চিন।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">যদিও আমেরিকার দ্বিদলীয় কমিশনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং। তিনি বলেন, “তথাকথিত ওই কমিশন আদর্শগত ভাবে চিনবিরোধী এবং কিছু বলার মতো বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই ওদের। ওদের ওই রিপোর্টই অপতথ্য়।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র সংঘাত দেখা দেয়। ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এর পরই ভারতকে লক্ষ্য করে ঝাঁক ঝাঁক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র দাগতে শুরু করে পাকিস্তান, যার অধিকাংশই ছিল চিনের কাছ থেকে পাওয়া। যদিও তাদের সব চেষ্টাই রুখে দেয় ভারত। শেষ পর্যন্ত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। </span></p>
from india https://ift.tt/74v6d1D
via IFTTT
0 Comments