<p><span style="font-weight: 400;"><strong>গুয়াহাটি:</strong> আসন্ন <a title="বিধানসভা নির্বাচন" href="https://ift.tt/Oo4RWJe" data-type="interlinkingkeywords">বিধানসভা নির্বাচন</a>ের আগে অসমের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ১০ লক্ষ ৫৬ হাজার নাম বাদ গেল। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC)-র আওতায় ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অসমে যে কার্যক্রম চলে, সেই নিরিখে ভোটার তালিকাতেও সংশোধন ঘটানো হয়। তাই বিহার, পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যের মতো অসমে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে সেখানেও ভোটার তালিকায় ঝাড়াইবাছাই শুরু হয়েছে। আর তাতেই খসড়া ভোটার তালিকায় কয়েক লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেল। (Assam Voter List Revision)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">শনিবার অসমের যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়, সেই অনুযায়ী, অসমে এই মুহূর্তে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ২ কোটি ৫১ লক্ষ। এর পাশাপাশি, ৯৩ হাজারের বেশি ‘D-Voters’ রয়েছেন অসমে, যাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকায় এই ৯৩ হাজারের বেশি ‘D-Voters’-এর নাম ও ব্যক্তিগত তথ্য থাকলেও, ভোটাধিকার নেই তাঁদের। (Assam Draft Voter List)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">খ</span><span style="font-weight: 400;">সড়া তালিকা থেকে যে ১০ লক্ষ ৫৬ হাজারের নাম বাদ গিয়েছে, তার জন্য তিনটি কার্যকারণ তুলে ধরেছেন নির্বাচনী আধিকারিকরা, ১) মৃত্যু, ২) নথিভুক্ত ঠিকানা থেকে অন্যত্র স্থানান্তরণ, ৩) ডুপ্লিকেট এন্ট্রি। খসড়া ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার মৃতের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যত্র সরে যাওয়া ৫ লক্ষ ২৩ হাজারের নাম বাদ গিয়েছে তালিকা থেকে। ৫৩ হাজার ডুপ্লিকেট এন্ট্রি পাওয়া গিয়েছে, অর্থাৎ একাধিক জায়গায় নাম পাওয়া গিয়েছে তাঁদের।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">গত ২২ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দরজায় দরজায় গিয়ে তথ্য যাচাই করেই এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি নির্বাচনী আধিকারিকদের। ৬১ লক্ষের বেশি বাড়িতে যান নির্বাচন কমিশনের দ্বারা নিযুক্ত কর্মীরা। খসড়া তালিকায় কোনও সংশোধন ঘটানোর থাকলে, ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সকলকে। এর পর, ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">বর্তমানে অসমে ৩১ হাজার ৪৮৬টি বুথ রয়েছে। তবে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে যেখানে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন, অসমে শুধুমাত্র বিশেষ সংশোধনের কাজ চলছে। সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান, অসমে নাগরিকত্ব নিয়ে পৃথক বিধি রয়েছে। <a title="সুপ্রিম কোর্ট" href="https://ift.tt/bxoil2C" data-type="interlinkingkeywords">সুপ্রিম কোর্ট</a>ের তত্ত্বাবধানে সেখানে নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়াও শেষ হওয়ার পথে। তাই অসমে SIR-এর নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">বেআইনি অনুপ্রবেশ নিয়ে বরাবর বিতর্ক অসমে। আজ বলে নয়, গত কয়েক দশক ধরে সেই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনও দেখেছে অসম। ক্ষমতায় এলে অসম থেকে বাংলাদেশি মুসলিমদের বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তেহারে। </span></p>
from india https://ift.tt/AborREP
via IFTTT
0 Comments