<p><strong>নয়াদিল্লি :</strong> আমেরিকার পর এবার আরও একটা দেশ। নির্দিষ্ট কিছু ভারতীয় পণ্যের আমদানির উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপাল মেক্সিকো। এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেক্সিকো সিটির সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য-চুক্তি নেই, তাদের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। চিনের সঙ্গে ব্যবসা কমানো নিয়ে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাউমের সরকারের উপর তীব্র চাপ রয়েছে ওয়াশিংটনের। সেই পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত। তবে, মেক্সিকোর স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপ আগেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উচ্চ হারে শুল্ক চাপালে তার মূল্য চোকাতে হতে পারে। </p> <p><strong>কোন কোন সামগ্রীর উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ?</strong></p> <p>অটো যন্ত্রাংশ, হাল্কা গাড়ি, খেলনা, পোশাক, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, আসবাবপত্র, ফুটওয়্যার, ইস্পাত, গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি, চামড়াজাত পণ্য, অ্যালুমিনিয়াম, কাগজ, ট্রেলার, কাচ, সাবান, পিচবোর্ড, মোটর বাইক, সুগন্ধি এবং প্রসাধনী আমদানির উপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।</p> <p>ভৌগোলিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, ভারত এবং মেক্সিকো শক্তিশালী বাণিজ্য পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছে। ভারতীয় শিল্প কনফেডারেশন (CII) এর তথ্য অনুসারে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ২০১৯-২০ সালে ৭.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হয়েছে।</p> <p>নতুন শুল্ক বিভিন্ন বাণিজ্য বিভাগে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেক্সিকোর এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল খাত সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গাড়ির আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ শতাংশ হবে, যা মেক্সিকোতে ভারতের বৃহত্তম যানবাহন রফতানিকারকদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা হবে, যার মধ্যে রয়েছে ভক্সওয়াগেন, হুন্ডাই, নিসান এবং মারুতি সুজুকি।</p> <p>গত অগাস্ট মাসে ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে ২৫% রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য জরিমানা হিসেবে আরোপ করা হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত এই শুল্ক কাপড় থেকে শুরু করে চামড়া, গয়না ও সামুদ্রিক খাবার পর্যন্ত শিল্পগুলিকে প্রভাবিত করেছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে অনেক কারণ। সেই কারণে নির্বাচিত পণ্যের উপর শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ফলে মার্কিন বাজারে অনেক পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছিল। ভারতের রফতানি করা খাদ্য ও পানীয় কিনতে তাদের আগের চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছিল। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।</p> <p> </p>
from india https://ift.tt/n9cPU7k
via IFTTT
0 Comments