<p>Uttar Pradesh News: দেখভাল করার লোকেরাই ৫ বছর ধরে অত্যাচার করেছে বৃদ্ধ বাবা এবং তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন কন্যাকে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের যিনি রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন। সিনিয়র ক্লার্ক পদে শেষ বয়সে কাজ করেছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। আর তাঁর কন্যার অবস্থাও যথেষ্টই করুণ। উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। </p> <p>ওমপ্রকাশ সিং রাঠোর - মৃত্যু হয়েছে এই বৃদ্ধের। তাঁর ২৭ বছরের মেয়ে রেশমি অবশ্য প্রাণে বেঁচে রয়েছেন। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন এই তরুণী বেশ অসুস্থ। ২০১৬ সালে মারা যান ওমপ্রকাশের স্ত্রী। ওমপ্রকাশের ভাই অমরের কথায়, এরপরই রাম প্রকাশ কুশওয়াহা এবং তাঁর স্ত্রী রামদেবীকে কাজের জন্য রাখা হয়। মায়ের মৃত্যুর পর রেশমিকে একট অন্য বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই থাকতেন ওমপ্রকাশও। বাবা এবং মেয়েকে কার্যত বন্দি করে রেখে ৫ বছর ধরে নানা ভাবে অত্যাচার করেছেন রাম প্রকাশ এবং রামদেবী, এমনটাই অভিযোগ। </p> <p>দাদার মৃত্যুর পর ওমপ্রকাশের ভাই অমর অভিযোগ করেছেন, তাঁর দাদা এবং তাঁর মেয়েকে দেখভাল করার জন্য যে দম্পতিকে কাজে রাখা হয়েছিল, তাঁরাই গোটা বাড়ি দখল করে নিয়েছিলেন। নীচের ঘরগুলোয় থাকতে দিয়েছিলেন বাবা আর মেয়েকে। উপরের তলায় নিজেরা থাকতেন বিলাসবহুল ভাবে। কোনও আত্মীয়স্বজন ওমপ্রকাশ কিংবা রেশমির সঙ্গে দেখা করতে গেলে, নানা ছুতোয় তাঁদের ফিরিয়ে দিতেন, ওই দুই কেয়ারটেকার। তাঁরা বলতেন, ওমপ্রকাশ নাকি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের ন্যূনতম যেটুকু জিনিস প্রয়োজন, এই বাবা এবং মেয়েকে সেটাও দিতেন না ওই দুই কেয়ারটেকার। </p> <p>ওমপ্রকাশের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর, তাঁদের বাড়িতে যান আত্মীয় স্বজনরা। সেখানেই দেখতে পান ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ঘরে পড়ে রয়েছে ওমপ্রকাশের ক্ষতবিক্ষত দেহ। আরেকটি অন্ধকার ঘর থেকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রেশমিকে। এক আত্মীয়ের দাবি, দীর্ঘদিনে অনাহারে থাকায়, অপুষ্টিতে রেশমিকে দেখতে লাগছিল ৮০ বছরের মহিলার মতো। ওই আত্মীয় এও বলেন, রেশমিকে দেখে মনে হচ্ছিল সারা শরীরে যেন মাংস নেই, কঙ্কালসার দেহটা শুধু পড়ে রয়েছে, কোনও মতে অবশিষ্ট রয়েছে প্রাণটুকু। ওমপ্রকাশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দেহ ময়নাতন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পরিবারের বাকি সদস্যরাই আপাতত রেশমির দায়িত্ব নিয়েছেন। অভিযুক্ত ২ জনের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওমপ্রকাশ এবং রেশমির পরিবারের সদস্যরা। </p>
from india https://ift.tt/lkRXw2E
via IFTTT
0 Comments