Enforcement Directorate: ‘নাগরিকদের এভাবে হেনস্থা করা যায় না,’ ED-কে ভর্ৎসনা আদালতের, আর্থিক জরিমানাও

<p><span style="font-weight: 400;"><strong>মুম্বই:</strong> বম্বে হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার শিকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED). আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে ভর্ৎসনা শুনে হল তাদের। ED মানুষকে হেনস্থা করতে পারে না, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারে না বলে মন্তব্য করল আদালত। পাশাপাশি, ED-কে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। ED-র প্রতি এই কঠোর অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছে আদালত। (Enforcement Directorate)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মঙ্গলবার ED-কে তীব্র ভর্ৎসনা করে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি মিলিন্দ জাধব আর্থিক তছরুপের একটি মামলার শুনানি করছিলেন। তিনি জানান, ED এবং অভিযোগকারী ব্যক্তি যে পদক্ষেপ করেছেন, তা স্পষ্টতই কুৎসা রটানোর উদ্দেশে করা হয়েছে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন বাস্তবায়নের নামে নিপীড়ন চালানো হয়েছে এক্ষেত্রে। ED-কে আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে, তার বাইরে যাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। (Bombay High Court)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ED-কে আর্থিক জরিমানা করে বিচারপতি বলেন, &ldquo;আমি আর্থিক জরিমানা চাপাতে বাধ্য হচ্ছি। ED-র মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছে কড়া বার্তা যাওয়া উচিত। ওদের বুঝতে হবে যে, আইনের গণ্ডির মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে। নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না ওরা। এবাবে নাগরিকদের হেনস্থা করতে পারে না। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধের নামে কী নিপীড়ন চলছে, এই মামলাই তার উদাহরণ।&rdquo;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মুম্বইয়ের রিয়েল এস্<a title="টেট" href="https://ift.tt/oFfzhny" data-type="interlinkingkeywords">টেট</a> ব্যবসায়ী রাকেশ জৈনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা করেছিল ED. গুল আছরা নামের এক গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যে মামলা দায়ের করে, সেই তদন্তই ED-র হাতে ওঠে। আছরার অভিযোগ ছিল, হোটেল খোলার জন্য সম্পত্তি কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তরিত হয়নি। যদিও ব্যবসায়ীর দাবি ছিল, অভিযোগকারী অন্দরমহলে এত ধরনের কাজ করাচ্ছিলেন, তার জন্যই সম্পত্তি হস্তান্তরে দেরি হয়ে যায়।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">সেই নিয়ে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় যান ওই ব্যক্তি। মুম্বই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তেমন সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর পর সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের দ্বারস্থ হন। নিম্ন আদালতের নির্দেশে মামলাও দায়ের হয়। ভিলে পার্লের পুলিশ মামলার তদন্তভার তুলে দেয় ED-র হাতে। সেই তদন্ত চলাকালীনই অন্ধেরিতে দু&rsquo;টি ফ্ল্যাট এবং একটি গ্যারাজ কেনেন ওই ব্যবসায়ী, যাকে &lsquo;অপরাধ&rsquo; বলে চিহ্নিত করে ED. ব্যবসায়ী আর্থিক তছরুপে যুক্ত বলে রিপোর্ট জমা দেয় তারা। সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমোদনও আদায় করে আদালl থেকে।&nbsp;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">সেই নিয়ে ED-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান ওই ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার শুনানি করতে গিয়ে হাইকোর্ট জানায়, ইচ্ছাকৃত ভাবেই আছরা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গিয়েছিলেন, যাতে পুলিশ তাঁর মামলাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। নিজের উদ্দেশ্যসাধন করতে চেয়েছিলেন তিনি। সাধারণ মামলাকে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের আইনের আওতায় এনে ফেলার কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ ছিল না বলে জানায় আদালত। আর তাতেই ED-র ভূমিকায় প্রশ্ন তোলা হয়। ED-র হাতে এই মামলা যাওয়ার কথাও নয় বলে জানান তিনি। মামলায় যদিও চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। ED-কে আবেদনের জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।</span></p>

from india https://ift.tt/l0nY63I
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments