Australian Man Buried in Bihar: ভারতের মাটিতে সমাধি চান, লিখে গিয়েছিলেন উইলে, শেষ ইচ্ছে পূরণ হল অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকের

<p><span style="font-weight: 400;"><strong>পটনা:</strong> সুদূর অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। কিন্তু ভারতে ছুটে আসতেন বার বার। নাড়ির টান অনুভব করতেন ভারতের মাটির সঙ্গেই। নিজের উইলেও তাই ভারতের কথা লিখে রেখেছিলেন। জানিয়েছিলেন, মারা যাওয়ার পর ভারতের মাটিতেই যেন সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে। বৃদ্ধের সেই ইচ্ছে মান্যতা পেল। (Australian Man Buried in Bihar)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বাসিন্দা ডোনাল্ড স্যামস। ৯১ বছর বয়সে সম্প্রতি দ্বাদশ বারের জন্য ভারতে বেড়াতে আসেন তিনি। ৪২ জনের একটি পর্যটকের দলে শামিল ছিলেন ডোনাল্ড। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে পটনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন পাণ্ডব নামের একটি তরীতে চেপে। সম্প্রতি সুলতানগঞ্জে এসে পৌঁছন। সেখান থেকে পটনা যাচ্ছিলেন গঙ্গার উপর দিয়ে। জলপথে ওই যাত্রার সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডোনাল্ড। মুঙ্গেরের ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বার্ধক্যজনিত কারণে, স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে বলে জানানো হয়। (Viral News)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">জেলা প্রশাসনের তরফে ডোনাল্ডের মৃত্যুর কথা জানানো হয় অস্ট্রেলিয়া দূতবাসকে। খবর যায় তাঁর স্ত্রী অ্যালিস স্যামসের কাছে। কথা বলে জানা যায়, ভারতেই সনাধিস্থ হতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড। নিজের উইলেও সেকথা লিখে রেখেছিলেন আগে থেকে। সেই মতো আলোচনা শুরু হয়। অ্যালিস স্বামীকে ভারতে সমাধিস্থ করতে অনুমতি দেন। অনুমতি দেয় অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসও। শেষ পর্যন্ত খ্রিস্টীয় রীতিনীতি মেনেই সমাধিস্থ করা হয় ডোনাল্ডকে। তাঁর শরীরের ময়নাতদন্তও হয়নি।&nbsp;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মুঙ্গেরের চুরাম্বা সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয় ডোনাল্ডকে। মুঙ্গেরের জেলাশাসক অবনীশ কুমার সিংহ জানান, দূতাবাসের নির্দেশ মতোই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ডোনাল্ডের স্ত্রী ময়নাতদন্ত চাননি। সেই ইচ্ছেকে সম্মান জানানো হয়েছে। যে তরীতে ডোনাল্ডের দেহ আনা হয়েছিল, বাবুয়াঘাটে প্রায় ২৪ ঘণ্টা নোঙর করে রাখা হয়েছিল সেটিকে। ডোনাল্ডের সহযাত্রীদের মধ্যেও শোকের ছায়া।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার হাই কম্যান্ডের অফিসার ছিলেন ডোনাল্ড। ইংরেজ আমলে তাঁর বাবা অসমে কর্মরত ছিলেন। বাবার স্মৃতি হাতড়ে দেখতেই বার বার ভারতে ছুটে আসতেন ডোনাল্ড। ভারতের প্রতি অসম্ভব টান তৈরি হয়েছিল তাঁর। ভারতকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। তাই যখনই সময় পেতেন, ছুটে আসতেন। কখন জলপথে কলকাতা থেকে পটনা যেতেন, কখনও আবার অন্যত্র। ভারতের মাটিতেই সমাধিস্থ হতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই মতোই তাঁর শেষ ইচ্ছেকে সম্মান জানানো হল।</span></p>

from india https://ift.tt/SPU3cuC
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments