<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিরোধিতা করল কেন্দ্র। অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া কেউ যাতে ফের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সাংসদ বা বিধায়ক হিসেবে পদে ফিরতে না পারেন, সেই মতো আজীবন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা জমা পড়েছিল। পাশাপাশি, সমস্ত সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। কিন্তু সেখানে ওই আবেদনের বিরোধিতা করল কেন্দ্র। (Criminal Conviction of Politicians)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিকদের আজীবন নিষিদ্ধ করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই নিয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে কেন্দ্র জানায়, অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিকদের আজীবন নিষিদ্ধ করা কঠোর সাজা হয়ে যাবে। বরং দোষী সাব্যস্তকে বর্তমানে ছ’বছর রাজনীতি থেকে বিরত রাখার যে সময়সীমা রয়েছে, তা যথেষ্ট। দোষী সাব্যস্তের রাজীনতিতে ফেরার পথে সেটিই প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, বিধায়ক বা সাংসদদের সদস্যপদ কতদিনের জন্য বাতিল করা যায়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র সংসদের আছে বলেও জানায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। (Supreme Court)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়, ‘কাউকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হবে, না কি সীমিত সময়ের জন্য, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক্তিয়ার একমাত্র সংসদের। সমস্ত কার্যকারণ খতিয়ে দেখে, যুক্তিগ্রাহ্য পদ্ধতিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়’। মামলাকারী আইনজীবী যদিও ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ৮ এবং ৯ নম্বর অনুচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। কারণ জনপ্রতিনিধির জেল হলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন থেকে ছ’বছরের জন্য রাজনীতিকদের সদস্যপদ বাতিলের বিধান রয়েছে আইনে। দুর্নীতি বা অনৈতিক কাজের জন্য সিভিল সার্ভেন্টদের সদস্যপদ বাতিল হলে, সেক্ষেত্রে পাঁচ বছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই আজীবন সদস্য়তা বাতিল এবং নিষেধাজ্ঞা বসানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মামলাকারী আইনজীবী।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">কিন্তু কেন্দ্রের যুক্তি, সীমিত সময়ের শাস্তি অসাংবিধানিক নয়। সংবিধান সংসদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। তাই কী কারণে সদস্যতা বাতিল হবে, কত সময়ের জন্য বাতিল হবে, ১০২ এবং ১৯১ নম্বর অনুচ্ছেদে সেই ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে সংসদের হাতেই। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;"> জনপ্রতিনিধিরা অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে কী করণীয়, সেই নিয়ে আগেও মামলা হয়। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, বিধায়ক-সাংসদরা যদি দোষী সাব্যস্ত বন এবং ন্যূনতম সাজার মেয়াদ দু’বছর বয়, সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সদস্যতা চলে যাবে। তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদনও করতে পারবেন না তাঁরা। আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে তদানীন্তন UPA সরকার অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসে, সেই সময় যার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন রাহুল গাঁধী। সেই অর্ডিন্যান্স আর কার্যকর হয়নি। পরবর্তীতে মানহানি মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে রাহুলের সদস্যতাও চলে যায়। নিজেদের সরকারের বিরোধিতা না করলে, তাঁর সদস্যতা যেত না বলে সেই সময় কটাক্ষ করেন অনেকেই। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে সরেননি রাহুল। </span></p>
from india https://ift.tt/yJeTuCq
via IFTTT
0 Comments