<p><span style="font-weight: 400;"><strong>ভোপাল:</strong> যৌন নির্যাতন চালিয়ে মূক ও বধির শিশুকে খুনের অভিযোগ মধ্যপ্রদেশে। ঝোপের মধ্যে থেকে মিলল শিশুটির দেহ। কিন্তু তদন্তে নেমে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। যে যুবক এই নক্ক্যারজনক ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ, আগেও দু’-দু’বার ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সে। তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজাও শুনিয়েছিল আদালত, যা পরে খারিজ হয়ে যায়। (Madhya Pradesh News)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মধ্যপ্রদেশের রায়গড়ের নরসিংহগড় থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। গত ১-২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে বাড়ি থেকে ১১ বছর বয়সি, মূক ও বধির একটি মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন সকালে বাড়ির কাছে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল মেয়েটির। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একসপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মেয়েটি। শেষ পর্যন্ত ৮ ফেব্রুয়ারি মারা যায়। (Girl Assaulted in MP)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ওই ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৪৬টি জায়গা থেকে ১৩৬টি সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে পুলিশ। ওই সিসিটিভি ফুটেজে লাল শালে মুড়ি দেওয়া এক সন্দেহভাজনকে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পায়ে ছিল নীল-কালো স্পোর্টস শু। যে ঝোপ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তার আশেপাশেই ঘুরছিল ওই যুবক। পরে তাকে রমেশ সিংহ বলে চিহ্নিত করে পুলিশ।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">রমেশের খোঁজ করতে গিয়ে এক অটো রিকশা চালকের সন্ধান পায় পুলিশ। ওই অটো-চালক জানান, ঘটনার রাতে এক যাত্রীকে নরসিংহগড় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও রমেশের নাগাল মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আযোজিত কুম্ভমেলায় হদিশ মেলে রমেশের। সেখানে পুণ্যস্নানে গিয়েছিল সে। প্রয়াগরাজ থেকে আবার ট্রেনে জয়পুর রওনা দিতে উদ্যত হয় রমেশ। ওই ট্রেনেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">রমেশের নাগাল পেতে পুলিশের ১৬টি টিম কাজ করছিল। সবমিলিয়ে ন’টি থানার ৭৫ জন পুলিশকর্মী এই অভিযানে যুক্ত ছিলেন। রায়গড়ের এসপি আদিত্য মিশ্র জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষা চলছে এই মুহূর্তে। অন্য কোনও মামলায়, যেখানে ধৃতের নাগাল পাওয়া যায়নি, তাতেও রমেশের কোনও সংযোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">আর সেই তদন্তেই রমেশ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। জানা গিয়েছে, রমেশ দাবরিপুরের পোলাইকালানের বাসিন্দা। ২০০৩ সালে শাজাপুরের মুবারিকাপুর গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে সে। সেবার ১০ বছরের সাজা হয়েছিল তার। কিন্তু ২০১৩ সালে জেল থেকে বেরিয়ে এসে ফের অপরাধ ঘটায় রমেশ।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">২০১৪ সালে সোহেরের আশতায় আট বছরের এক শিশুকন্যাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে। নিম্ন আদালত সেবার রমেশকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। কিন্তু ২০১৯ সালে হাইকোর্টে সেই সাজা খারিজ হয়ে যায়। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে বলা হয়, অভিযুক্ত শনাক্তকরণের সময় নির্যাতিতার বাবা উপস্থিত ছিলেন। গোটা প্রক্রিয়ায় তাঁর প্রভাব থাকতে পারে। ফলে আবারও জেলের বাইরে বেরনোর সুযোগ পেয়ে যায় রমেশ। আর তার পর এই ঘটনা। এক্ষেত্রে যা করণীয়, তা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। </span></p>
from india https://ift.tt/oRDHrwq
via IFTTT
0 Comments