<p><strong>সন্দীপ সরকার, কলকাতা :</strong> একসঙ্গে প্রায় ৭৫০ ওষুধের দাম বাড়ছে ! মঙ্গলবার থেকে ৭৪৮টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম একধাক্কায় ১.৭৪ শতাংশ বাড়তে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে সাধারণ প্যারাসিটামল, ডায়াবিটিসের ওষুধ থেকে ক্যান্সার, অ্যানিমিয়ার ওষুধও। </p> <p>আপনার বাড়িতে কি প্রতি মাসে কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ লাগে ? বাড়ির বয়স্ক বা অন্য় কারও জন্য় হাজার হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয় ? তাহলে আপনার জন্য় দুশ্চিন্তার খবর ! আপনার ওষুধের খরচ এক ধাক্কায় আরও বাড়তে চলেছে ! মঙ্গলবার থেকেই দাম বাড়তে চলেছে ৭৪৮টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের ! ১.৭৪ শতাংশ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।</p> <p>কোন কোন ওষুধ রয়েছে এই তালিকায় ? ঘরে ঘরে থাকা প্যারাসিটামল, কিংবা ব্যাক্টিরিয়া সংক্রমণ আটকানোর জন্য ব্যবহৃত অ্যাজিথ্রোমাইসিন তো আছেই ! সেই সঙ্গে অ্যানিমিয়া, ডায়াবিটিস, ক্য়ান্সারের ওষুধের দামও বাড়তে চলেছে! তালিকায় রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস এবং কিছু স্টেরয়েডও। মঙ্গলবার থেকেই বর্ধিত দাম কার্যকর হতে চলেছে। অর্থাৎ পয়লা এপ্রিল থেকেই বাড়তে চলেছে ওষুধ কেনার খরচ!</p> <p>এ প্রসঙ্গে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, "ভারতে ১০০টা ওষুধের মধ্যে ৮০ শতাংশ ওষুধ যে ওষুধের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধের ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো। বাকি ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে দাম কমানোর কথা, ঠিক ২০ শতাংশ ওষুধের দাম তারা বাড়িয়ে চলেছে। কেন কেন্দ্র বাকি ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ম্যানুফাকচারারদের বলবে না যে তোমরা দাম বাড়াতে পারবে না !" </p> <p>হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু ওষুধের দাম এক ধাক্কায় ১.৭৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল প্রাইসিং অথরিটি অর্থাৎ NPPA-র তরফে MRP-র ঊর্ধ্বসীমা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে দাম বাড়ানোর জন্য আর আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে না ওষুধ সংস্থাগুলোকে। </p> <p>১ এপ্রিলের পর থেকে বর্ধিত দামের ওষুধ বাজারে ছেড়ে, পুরনো ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তেও সবুজ সংকেত দিয়েছে NPPA।</p> <p>এদিকে আলসার থেকে স্নায়ুর রোগ। হৃদরোগ ঠেকানোর অ্যাড্রিনালিন ইঞ্জেকশন থেকে অ্যান্টিবায়োটিক। গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি মানী ব্র্যান্ডের বহু ওষুধ। দেশজুড়ে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করা ১০৪টি ওষুধের মধ্যে রাজ্যের ২ ল্যাবে ফেল করেছে ২৮টি। </p>
from india https://ift.tt/XBudAP4
via IFTTT
0 Comments