<p><span style="font-weight: 400;"><strong>লখনউ:</strong> গুরুত্বপূর্ণ মিটিং রয়েছে জেনেও পৌঁছতে দেরি। নোটিস ধরিয়ে দেরি হওয়ার কারণ জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নোটিসের যে জবাব দিলেন কনস্টেবল, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউ। সরাসরি স্ত্রীর ঘাড়ে দোষ চাপালেন তিনি। স্বপ্নে স্ত্রী জ্বালাতন করেন বলেই ঠিক সময়ে ঘুম ভাঙে না বলে জানালেন। সেই চিঠির প্রতিলিপি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেটি। (Viral News)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">উত্তরপ্রদেশের আধাসামরিক বাহিনী, প্রাদেশিক আর্মড কনস্টেবুলারি (PAC)-তে কর্মরত অভিযুক্ত কনস্টেবল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে নোটিস ধরান PAC-র ৪৪তম ব্যাটেলিয়নের G-Aquad কম্যান্ডার মধুসূদন শর্মা। কর্তব্যরত অবস্থায় অসদাচরণের অভিযোগ তোলা হয়। একদিন আগে সকাল ৯টায় গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল। আগে থেকে বলা সত্ত্বেও, ওই দিন অভিযুক্ত দেরিতে পৌঁছন বলে অভিযোগ করা হয় নোটিসে। (Viral Letter of Constable)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত কনস্টেবলের আচরণ নিয়েও আপত্তি জানানো হয় নোটিসে। বলা হয়, দেরিতে আসার পাশাপাশি, দাড়ি কামাননি তিনি। ইউনিফর্মও ঠিকঠাক ভাবে পরেননি। যেমন তেমন ভাবে গায়ে চাপিয়েছিলেন। একদিন নয়, প্রায়শই তিনি দেরিতে ডিউটিতে যোগ দেন, কাজে তেমন আগ্রহ দেখান না, সহকর্মীরাও সেই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে লেখা হয় নোটিসে। এ নিয়ে লিখিত আকারে দিনের দিন জবাব দিতে বলা হয় ওই কনস্টেবলকে। অন্যথায় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়।</span></p> <blockquote class="twitter-tweet"> <p dir="ltr" lang="hi">मेरठ(UP): PAC जवान से ड्यूटी पर लेट आने की वजह पूछी गई <br /><br />तो उसने पत्र में लिख भेजा <br /><br />“पत्नी सपने में खून पीने की कोशिश करती है, डिप्रेशन की दवाई ले रहा हूँ”<br /><br />कमांडेंट ने जाँच के आदेश दिए हैं, पत्र की जाँच करायी जा रही है <a href="https://t.co/vncOUlsm8R">pic.twitter.com/vncOUlsm8R</a></p> — Anku Chahar (@anku_chahar) <a href="https://twitter.com/anku_chahar/status/1896939207085736371?ref_src=twsrc%5Etfw">March 4, 2025</a></blockquote> <p><span style="font-weight: 400;">সেই মতো প্রাদেশিক কম্যান্ডারকে লিখিত জবাব পাঠান অভিযুক্ত কনস্টেবল। ১৬ ফেব্রুয়ারি মিটিংয়ে পৌঁছতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জানান, ব্যক্তিগত ঝানেসার জেরে রাতে ঘুম হয়নি তাঁর। তাই সকালে উঠতেও পারেননি ঠিক সময়ে। ওই ব্যক্তি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চরমে ওঠে তাঁর। এর পর স্বপ্নেও হাজির হন স্ত্রী। স্বপ্নে শুধু দেখা দেওয়া নয়, তাঁর বুকের উপর উঠে বসেন স্ত্রী। এর পর রক্ত চুষতে শুরু করেন। তাঁকে খুন করাই লক্ষ্য ছিল স্ত্রীর।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">চিঠিতে ওই কনস্টেবল জানান, রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেন না তিনি। যন্ত্রণায় দিন কাটছে। অবসাদের ওষুধ খাচ্ছেন। তাঁর মা-ও অনিদ্রায় ভুগতেন এবং তাঁর স্নায়ুর সমস্যা ছিল বলেও লেখেন চিঠিতে। ওই কনস্টেবল জানান, মায়ের জন্যও কষ্ট পান তিনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানান, জীবনের উপর আশা হারিয়েছেন তিনি। বাঁচার ইচ্ছেও আর নেই। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চান। ঈশ্বরের পায়ে কী ভাবে নিজেকে সমর্পণ করে দেবেন, তার জন্য সিনিয়রের পরামর্শও চান।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ওই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেটি শেয়ার করেছেন। </span><span style="font-weight: 400;">এবিপি আনন্দ যদিও ওই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে News 18-এর তরফে ৪৪তম ব্যাটেলিয়নের ওই কম্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিঠি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। বরং জানান, ওই কনস্টেবলের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। চিঠিটির কথা তাঁর জানা নেই, সেটির সত্যতা যাচাই করে দেখা প্রয়োজন বলে জানান। প্রয়োজনে ওই কনস্টেবলের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত বলে জানান তিনি।</span></p>
from india https://ift.tt/QNtAOdi
via IFTTT
0 Comments