Murshidabad News: আমবাগানের চারদিক দিয়ে কেন্দ্রীয়বাহিনী ও পুলিশকেই ঘিরে ফেলল দুষ্কৃতীরা, নতুন করে আতঙ্ক সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে !

<p><strong>রাজীব চৌধুরী, সামশেরগঞ্জ :&nbsp;</strong>পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে পুলিশের দাবির মধ্যেই ফের হামলা ! নতুন করে উত্তপ্ত সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদ । পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলল দুষ্কৃতীরা। পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই জাফরাবাদেই নৃশংসভাবে খুন হন হরগোবিন্দ ও চন্দন দাস । মহম্মদ সেলিমরা গ্রাম ছাড়তেই ইটবৃষ্টি । আমবাগান থেকে দুষ্কৃতী হামলা, প্রাথমিকভাবে পিছু হটতে হয় বাহিনীকে। প্রাথমিকভাবে পিছু হটলেও, পরে অবশ্য এলাকায় বিশাল বাহিনী ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।</p> <p><strong>কী পরিস্থিতির তৈরি হল ?</strong></p> <p>আজ ওই গ্রামে যান মহম্মদ সেলিম। তিনি যখন সেখানে বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করছিলেন, তখনই পশ্চিম দিক থেকে একটা উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেলিম ওই গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর পশ্চিম দিক থেকে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গ্রামে মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তাঁদের কাছে গিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দার হাত-পা ধরেন। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চারজন জওয়ান এবং সামশেরগঞ্জ থানার এক পুলিশকর্মী দুষ্কৃতীদের আমবাগানের দিকে ধাওয়া করেন। আমবাগানের চারদিক থেকে যখন তাদের হটিয়ে দিতে যান, পাল্টা সেই সময় এই পাঁচ নিরাপত্তাকর্মীকেই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বিপদে পড়েছেন বুঝতে পেরে সেখান থেকে পিছু হটেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশকর্মীরা। ছুটে এলাকা থেকে পালিয়ে আসেন। কোনও রকমে প্রাণ রক্ষা করেন। তাতে উত্তজেনা ছড়ায়। গ্রামের মানুষের মধ্যে ফের নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য বিশাল পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পৌঁছান। সেখান থেকে তখন সরে যায় দুষ্কৃতীরা। গ্রামের মানুষের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা আতঙ্কে আছেন।</p> <p>ধুলিয়ানের এই জাফরাবাদেই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দাস পরিবার। বাড়ি থেকে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বাবা-ছেলেকে। নিহতদের নাম হরগোবিন্দ দাস (৭০) এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাস (৪০)।</p> <p>শনিবার, সকালে আচমকা একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় বাড়িতে। থান ইট, অস্ত্রের বাড়ি মেরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। চলে ভাঙচুর, লুঠ। লাথি মেরে ভেঙে দেওয়া হয় মাটির উনুন..। সেই সময় ঘরে ছিলেন মহিলা, শিশু-সহ পরিবারের দশ জন। তাদের চোখের সামনেই বাবা-ছেলেকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে, থেঁতলে খুন করা হয় বাবা-ছেলেকে।</p>

from india https://ift.tt/gCDUNXS
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments