<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ বজায় রয়েছে। আর সেই আবহেই অন্য দুই পড়শি দেশের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ তৈরি হল। কারণ গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, ভারতের ‘চিকেনস নেক’-এর উপর নজর রয়েছে চিনের। আর এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ। যৌথ সহযোগিতায় সেখানে বিমানঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা চলছে। (India-Bangladesh Relations)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">নেপাল এবং বাংলাদেশের মাঝে ভারতীয় ভূখণ্ডের যে সঙ্কীর্ণ অংশ, মানচিত্রে সেটির আকার মুরগির ঘাড়ের মতো দেখায়। তাই ওই অংশকে ‘চিকেনস নেক’ বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি, মাডিগাড়া, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, চোপড়া ও ইসলামপুরের কিছু অংশ ওই ‘চিকেনস নেক’-এর মধ্যে পড়ে, যাকে শিলিগুড়ি করিডরও বলা হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে গোটা দেশের সংযোগ রক্ষায় এই শিলিগুড়ি করিডর’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। (Bangladesh-China Relations)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মুহূর্তে চিন ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গতিবিধিই শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে দিল্লির মাথাব্যথা বাড়িয়ে তুলছে বলে খবর। গোয়েন্দাসূত্রে খবর সম্প্রতি শিলিগুড়ি করিডরের অনতিদূরে, বাংলাদেশের রংপুর ডিভিশনের লালমনিরহাটে পৌঁছন চিনা আধিকারিকরা। সেখানে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলা নিয়ে পরিস্থিতি তদারকি করেন তাঁরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লালমনিরহাটে একটি বিমানঘাঁটি ছিল। দেশভাগের পর বাংলাদেশ বায়ুসেনা সেটি ব্যবহার করত। ২০১৯ সালে সেখানে বাংলাদেশ এ্যারোস্পেস এবং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটিকে ক্যাম্পাস গড়তে জমি দেওয়া হয়। এখন সেখানেই নতুন বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর তাতে চিনের সহযোগিতা চেয়েছে তারা। (Siliguri Corridor)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">চলতি বছরের মার্চ মাসে লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। রংপুর ডিভিশনের ওই জায়গাটি ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সাধারণ যাত্রীদের জন্য ওই বিমানঘাঁটি ব্যবহৃত হয়, না কি সেখানে বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ চলবে, সেদিকে কড়া নজর রেখেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেনার এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে বিষয়টি সামনে এনেছে Assam Tribune. ওই আধিকারিক বলেন, “চিন এবং পাকিস্তানের মতো দেশকে বাংলাদেশ বিমানঘাঁটিটি ব্যবহার করতে দেয় কি না, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তার খাতিরে বাংলাদেশ বিমানঘাঁটি তৈরি করতেই পারে। কিন্তু সেটি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা কাম্য নয়।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">শিলিগুড়ি করিডর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে যথেষ্ট সেনা মোতায়েন রেখেছে দিল্লি। শিলিগুড়ির কাছেই রয়েছে ত্রিশক্তি কর্পসের সদর দফতর। হাসিমারা বায়ুসেনাঘাঁটিতে রয়েছে রাফাল স্কোয়াড্রন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, বাংলাদেশের ওই বিমানঘাঁটি থেকে ভারতীয় সেনার গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হতে পারে। ওই বিমানঘাঁটি ভারতবিরোধী তথ্য সংগ্রহের ঘাঁটি হয়ে উঠতে পারে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংঘাত নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে বৈরিতার সূত্রপাত গত কয়েক মাসে। গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন ইউনূস। কিন্তু তাঁর আমলে দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে দূরত্ব লাগাতার বেড়েছে। আর ভারতের সঙ্গে দূরত্ব যত বেড়েছে, ততই চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দহরম মহরম শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এমনকি সম্প্রতি একাধিক বার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করেন ইউনূস। তিনি জানান, </span><span style="font-weight: 400;">ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা। তাদের কাছে সমুদ্রে যাওয়ার রাস্তা বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সেই নিরিখে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছে। তাই চিনের কাছে অর্থনৈতিক প্রসার ঘটানোর রাস্তা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত সীমান্তের অদূরে চিনের সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিমাঘাঁটি গড়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।</span></p>
from india https://ift.tt/36UyaGt
via IFTTT
0 Comments