<p><strong>সন্দীপ সরকার ও সুকান্ত মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা:</strong> লাগাতার সংঘর্ষ থেমেছে। বন্ধ হয়েছে গোলা-গুলি। কিন্তু এখনও উপত্য়কায় পুরোপুরি কাটেনি উদ্বেগ। এখনও ঘরছাড়া জমমুর আরনিয়া সেক্টরের বহু গ্রামবাসী। আতঙ্ক যায়নি কাশ্মীরের সীমান্ত ঘেষা গ্রামগুলিতেও! নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্তবর্তী এলাকায়, স্কুল-কলেজগুলো এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। </p> <p>[yt]https://youtu.be/AdqaHGb_gtM?feature=shared[/yt]</p> <p>আরও পড়ুন, <a title="'কোনও যুদ্ধই হয়নি, দু-একটা মিসাইল ওদিকে গিয়েছে, কোথায় জঙ্গিঘাটি ধ্বংস ?' ; কেন্দ্রের কাছে 'প্রমাণ' চাইলেন সৌগত রায়" href="https://ift.tt/HrKaALN" target="_self">'কোনও যুদ্ধই হয়নি, দু-একটা মিসাইল ওদিকে গিয়েছে, কোথায় জঙ্গিঘাটি ধ্বংস ?' ; কেন্দ্রের কাছে 'প্রমাণ' চাইলেন সৌগত রায়</a></p> <p>পাকিস্তান থেকে মুহূর্মুহু উড়ে এসেছে ড্রোন। শত্রুপক্ষের শেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে একাধিক ঘরবাড়ি। বিনিদ্র রজনী যাপন করেছে জমমুর সাম্বা, আর এস পুরা, আখনুর, আরনিয়া। এখন সংঘর্ষ বিরতি। গোলা-গুলি থেমেছে কিন্তু এই নীরবতার মধ্য়েও লুকিয়ে রয়েছে উদ্বেগ। স্বস্তি ফেরেনি পাকিস্তান ঘেঁসা জম্মুর সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে। ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের সময় পরপর তিনটি গোলা এসে পড়ে গ্রামের ভিতরে।প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে রাতভর বাঙ্কারে কাটান গ্রামবাসীরা!</p> <p>সকাল হতেই গ্রাম ছাড়েন। অনেক বাড়িতেই তালা ঝুলছে। আর গোটা গ্রাম একপ্রকার বলা যেতে পারে মানুষশূন্য। ২-১ টি বাড়িতে বাসিন্দারা ফিরেছেন। কিন্তু যারা ফিরেছেন তারা ২-১ টি পশুপালন, চাষবাষের কারণে দিনের বেলা থাকেন আবার রাতের বেলা চলে যান। জম্মু-এর এক বাসিন্দা বলেন,' ভগবানের কৃপা যে আমাদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাইরেই পড়েছে। বড় বড় গোলা ওদিক থেকে এসেছে। এদিক থেকেও গেছে। পাকিস্তানের থেকে ফায়ারিং হচ্ছিল। লুকনোর জায়গায় ছিল না, আমরা এই বাঙ্কারে চলে গেছিলাম। একটা গোলা আমাদের বাড়ির পিছনের দিকে পড়েছিল। কাল সকালেই ফিরেছি।'</p> <p> যে বাঙ্কারগুলি ওই রাতে গ্রামবাসীদের বাঁচিয়েছিল যেদিন ওপার থেকে একের পর এক গোলা ছুটে আসতে শুরু করে। এই বাঙ্কারগুলিতে ঢুকেই প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তারা। গ্রামের স্কুল এখনও বন্ধ! কারণ স্কুলের ভিতরেও রয়েছে বাঙ্কার। জম্মুর মতোই গোলাগুলি থামলেও এখনও আতঙ্ক যায়নি কাশ্মীরের সীমান্ত ঘেষা গ্রামগুলিতেও!</p> <p>জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও উপত্যকার বিভিন্ন অংশে পড়ে রয়েছে পাক সেনার ছোড়া শেলের টুকরো... মর্টারের অংশ। সেসব না সরানো পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা। তাই জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী স্কুল ও কলেজগুলো এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৮ মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।<br /> </p>
from india https://ift.tt/pYB8ZqS
via IFTTT
0 Comments