<p>নয়াদিল্লি : দেশে ধীরে ধীরে বাড়ছে <a title="করোনা" href="https://ift.tt/3jpw8DF" data-type="interlinkingkeywords">করোনা</a> সংক্রমণ। বিভিন্ন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ঊধর্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, নতুন করে ফের কি জোরালো থাবা বসাবে এই ভাইরাস ? যদিও সেরকম কোনো আশঙ্কার কথা এখনই শোনা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সতর্কতা প্রয়োজন। বিশেষ করে যাদের ঝুঁকি রয়েছে। সংবাদ সংস্থা PTI-কে বিশ্বমানের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া বলেছেন, "প্রতি বছরই, COVID-19 মৃদু সংক্রমণের কারণ হয়ে উঠছে। এটি (এখন) কেবল আরেকটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং ফ্লুর চেয়ে কম বিপজ্জনক। আমরা COVID-19-কে একটি বিশেষ কেস হিসাবে ভুলে যেতে পারি। এটি উদ্বেগের কারণ নয়।" </p> <p>হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিবেদী স্কুল অফ বায়োসায়েন্সেস-এর বায়োসায়েন্সেস অ্যান্ড হেল্থ রিসার্চের ডিন অনুরাগ আগরওয়াল বলছেন, "সমস্ত সাবভেরিয়েন্ট একই রকম, তাদের ভাইরাসের তীব্রতা কম কিন্তু সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। যদিও অত্যন্ত সংবেদনশীল ব্যক্তিরা এখনও গুরুতর রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা নয়, বিশেষ করে যাদের পূর্বে সংক্রমণ বা ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে।" </p> <p>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই বছর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে কোভিড-১৯-এর সমাপ্তিকে 'জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা' হিসেবে ঘোষণা করেছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই রোগটিকে 'মরসুমি', 'স্থানীয়' অথবা 'একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।</p> <p>৬ জুন পর্যন্ত দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫,৩০০ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪,৭০০ জনেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বর্তমান সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৫৫ জন, যার মধ্যে বেশিরভাগই আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। চন্দ্রকান্ত লাহারিয়ার কথায়, আগে থেকেই অসুস্থ ব্যক্তিরা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের উচিত স্ট্যান্ডার্ড সতর্কতা অনুসরণ করা, যেমনটি তাঁরা অন্য যে কোনো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে করেন. কেবল COVID-19 এর ক্ষেত্রে নয়।"</p> <p>তবে ৩০ মে থেকে ৪ জুন, রাজ্যের করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ মে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৯ জন। নতুন করে ৮২ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল ৩১ মে। পয়লা জুন রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। মঙ্গলবার দোসরা জুন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪১ জন। বুধবার রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬০। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ জন। সাত মাসের এক শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কোভিড পজিটিভ তাঁর মাও।</p>
from india https://ift.tt/V28dupA
via IFTTT
0 Comments