Iran-Israel Conflict: ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে আমেরিকা 'এন্ট্রি' নিতেই মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ল সঙ্কট, তেলের দাম ৫ মাসে সর্বোচ্চের কাছাকাছি !

<p><strong>নয়াদিল্লি :</strong> মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দশম দিনে ময়দানে ত্রিশক্তি। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে এন্ট্রি নিয়ে ফেলেছে আমেরিকা। ইরানের ৩টি পরমাণু কেন্দ্রে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে আমেরিকার সেনা বাহিনী। আমেরিকার হামলার পর কোন পথে হাঁটবে ইরান ? তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। এই আবহে ৫ মাসে সর্বোচ্চে পৌঁছাল তেলের দাম। চিন্তায় বিনিয়োগকারীরা। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে মার্কিন হামলার ফলে বিশ্বব্যাপী কার্যকলাপ এবং মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় তেলের দাম ২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে, যা জানুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ।&nbsp;</p> <p>আপাতত, ব্রেন্টের দাম তুলনামূলকভাবে ২.৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৯.১২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেখানে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম ২.৮ শতাংশ বেড়ে ৭৫.৯৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। শেয়ার বাজার কিছুটা স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে, S&amp;P ৫০০ ফিউচারের দাম ০.৫ শতাংশ এবং Nasdaq ফিউচারের দাম ০.৬ শতাংশ কমেছে।</p> <p>জাপানের বাইরে এশিয়া-পেসিফিকের MSCI-এর বিস্তৃত সূচক ০.৫ শতাংশ কমেছে এবং জাপানের Nikkei ০.৯ শতাংশ কমেছে। EUROSTOXX ৫০ ফিউচারের দাম ০.৭ শতাংশ কমেছে, যেখানে FTSE ফিউচারের দাম ০.৫ শতাংশ এবং DAX ফিউচারের দাম ০.৭ শতাংশ কমেছে। ইউরোপ এবং জাপান আমদানিকৃত তেল এবং এলএনজির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।</p> <p>ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে ঝাঁপাতেই হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে ইরান। সে দেশের সংসদ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার অনুমোদন দিয়েছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর উপর ছেড়ে দিয়েছে। তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারতের কপালেও। বিশ্বজুড়ে তেল সরবরাহের জন্য এই প্রণালী খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে হরমুজ প্রণালীর উপর।&nbsp;</p> <p>হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ যে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে অবস্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জলপথ এই পথ দিয়ে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করা হয়। বিশ্বে জ্বালানি সরবরাহের ২০% থেকে ২৫% হয় এই প্রণালী দিয়ে। হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের ২০%-৩০% Liquefied Natural Gas বা LNG সরবরাহ হয়।&nbsp;</p> <p>ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিলে স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বের বাজারে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান কমবে। দাম বাড়বে। আর অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে ভারতেও পেট্রোল-ডিজেলের দামে আগুন লাগবে। পরিবহণের খরচ বাড়লে চড়চড় করে বাড়বে অন্যান্য জিনিসের দাম। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ভারতের শেয়ার বাজারে। পড়তে পারে টাকার দাম।</p>

from india https://ift.tt/dKPQS2X
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments

Weather Update: পড়বে বাজ, টানা ৩ দিন চলবে ঝোড়ো হাওয়া-বৃষ্টি ! কলকাতা-সহ রাজ্যের ২০ জেলায় হলুদ ও কমলা সতর্কতা জারি IMD-র