Shashi Tharoor : 'বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য লাফাচ্ছি না', জল্পনার মধ্যেই স্পষ্ট বার্তা কংগ্রেস সাংসদ তারুরের

<p><strong>নয়াদিল্লি :</strong> সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্তুতির পরই তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। 'দ্য হিন্দু'-র একটি কলামে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে "ভারতের প্রধান সম্পদ" বলেছেন। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে শুরু হওয়া রাজনৈতিক জল্পনায় জল ঢাললেন বর্ষীয়ান সাংসদ। তাঁর মতামতকে "বিজেপিতে যোগদানের জন্য লাফ" বলে মনে করা ঠিক হবে না বলে জানিয়ে দিলেন তারুর।</p> <p>কংগ্রেসের কেরলের সাংসদ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শক্তি, গতিশীলতা এবং সম্পৃক্ততার ইচ্ছা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের জন্য একটি প্রধান সম্পদ, তবে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।" তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনটি বিষয় - প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং ঐতিহ্য - ভারতের ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক কৌশলকে চালিত করবে কারণ দেশ "আরও ন্যায়সঙ্গত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ বিশ্বের" জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।&nbsp;</p> <p>তাঁর এই মন্তব্যের পর ওয়াকিবহাল মহল বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কে তাঁর ইতিবাচক মন্তব্য, কংগ্রেসের তরফে মোদি সরকারের বিদেশ নীতির সমালোচনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা। এই পরিস্থিতিতে নিজের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তারুরের বক্তব্য, প্রতিবেদনটি কেবল অপারেশন সিঁদুরের কূটনৈতিক প্রচারের সাফল্যকেই তুলে ধরেছে। "দুর্ভাগ্যবশত, কিছু লোক যেমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর দলে আমি যোগ দেব বলে লাফাচ্ছি, তেমনটা নয়। এটি জাতীয় ঐক্যের, জাতীয় স্বার্থের... এবং ভারতের পক্ষে দাঁড়ানোর একটি বিবৃতি।" এমনই বলছেন তিরুঅনন্তপুরমের চার বারের সাংসদ।&nbsp;</p> <p>'অপারেশন সিঁদুর'-সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরতে ভারতের তরফে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল, তার একটিতে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। ৫ দেশ ঘুরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের 'জিরো টলারেন্সের' নীতি তুলে ধরেছেন তিনি। আমেরিকা-সহ ৫ দেশে যাওয়া ওই দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। ভারতে ফিরে আসার পর এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানান তারুর। তারপর থেকেই জল্পনা আরও বেড়েছে। কংগ্রেসের কেউ কেউ তাঁকে বিজেপির 'Super Spokesperson'-ও বলেছেন। যা নিয়ে তারুরের মন্তব্য, "আমি ভারতের সেবা করার জন্য এটা করেছি... এবং এটা করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই গর্বিত... বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক পার্থক্য সীমান্তেই থেমে থাকা উচিত... 'বিজেপির পররাষ্ট্রনীতি' বা 'কংগ্রেসের পররাষ্ট্রনীতি' বলে কিছু নেই, আছে কেবল 'ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতি' এবং 'ভারতীয় জাতীয় স্বার্থ'। তাই, আমি বলেছি যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে গতিশীলতা এবং শক্তি প্রদর্শন করেছেন... তিনি অন্য যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং ভারতের বার্তা বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তা করেছেন।"</p>

from india https://ift.tt/XPWCVNJ
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments

EC On Mamata: 'মাইক্রো অবজার্ভাররা সবাই এরাজ্যের..', মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়ে দিল কমিশন