<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> শিশুদের টিকাকরণে পিছিয়ে ভারত। গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে এল। ২০২৩ সাল পর্যন্ত হিসেব তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ভারত-সহ আটটি দেশে টিকা না হওয়া পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি শিশু রয়েছে। ভারতে শিশুস্বাস্থ্য কতটা প্রাধান্য পায়, শিশুদের টিকা নিয়ে কতটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রিপোর্টটি। (Unvaccinated Children)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">The Lancet জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এই তথ্য় উঠে এসেছে। ভারতে শিশুদের টিকাকরণের বর্তমান অবস্থা নিয়ে গবেষণা চালায় আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল। শুধু ভারতই নয়, পৃথিবীর ২০৪টি দেশে ১৯৮০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিশুদের টিকাকরণ কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়। সেই নিয়েই ‘Global Burden of Dieae 2023 Vaccine Coverage Collaborators’ রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে, যাতে উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে। (Vaccination Drive)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুদের টিকাকরণে চূড়ান্ত বৈষম্য চোখে পড়ছে। বলা হয়েছে, জন্মের পর প্রথম বছরেই শিশুদের ডেপথেরিয়া, টিটেনাস এবং হুপিং কাশির পার্টুসিস টিকা দেওয়া নিয়ম। কিন্তু ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে হিসেব মিলেছে, তাতে পৃথিবীতে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ শিশুর ওই টিকা হয়নি, যার মধ্যে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার শিশুর জন্ম ভারতে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৮০ সালে কোনও টিকা না হওয়া,অর্থাৎ ‘শূন্য ডোজ’ পাওয়া ৫৩.৫ শতাংশ শিশু মূলত পাঁচটি দেশে ছিল- ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের গবেষক, ডঃ জোনাথন মোসার জানিয়েছেন, শিশুদের রুটিন টিকাতেই রোগ প্রতিরোধের শক্তি তৈরি হয়। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যও শিশুদের টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে গত ৫০ বছর ধরে। কিন্তু লক্ষ্য়ে পৌঁছতে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। গবেষকদের মতে, করোনার জেরে গত কয়েক বছরে সামাজিক অসাম্য আরও বেড়েছে। সাধারণ মানুষ বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। টিকা নিয়ে অপতথ্য ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে, ফলে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আর তাতেই সার্বিক টিকাকরণের কাজ ব্যহত হচ্ছে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এমন চলতে থাকলে টিকাকরণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করা যাবে না, বিশ্বব্যাপী মহামারি নেমে আসবে বলে আশঙ্কা গবেষকদের। হাম, পোলিও, ডিপথেরিয়ার মহামারি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ১১টি টিকা বাধ্যতামূলক করেছে শিশুদের জন্য। কত সংখ্যক শিশু সেই ১১টি টিকাই পেয়েছে, তাও দেখেন গবেষকরা। জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালের পর, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হুপিং কাশি, হাম, পোলিও এবং যক্ষ্মা প্রতিরোধী টিকাকরণে ভাল উন্নতি চোখে পড়েছিল। ১৯৮০ সালে টিকা নাওয়া শিশুর সংখ্যা যেখানে ৫ কোটি ৮৮ লক্ষ ছিল, ২০১৯ সালে তা কমে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ হয়। কিন্তু <a title="করোনা" href="https://ift.tt/z30lmcP" data-type="interlinkingkeywords">করোনা</a>র পর সেই উদ্যোগ ধাক্কা খায়। ২০১০ সাল থেকেই বেশ কিছু দেশে সার্বিক টিকাকরণ বাধা পেতে শুরু করে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">২০১০ থেকে ২০১৯ সালে হামের টিকাকরণে অবনতি দেখা যায় ২০৪টির মধ্যে ১০০টি দেশে। ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হুপিং কাশি, হাম, পোলিও, যক্ষ্মার মতো গুরুত্বপূর্ণ টিকার মধ্য়ে অন্তত পক্ষে একটিতে পতন দেখা যায় ৩৬টির মধ্যে ২১ উচ্চ আয়ের দেশে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে টিকার রক্ষাকবচে মুড়ে ফেলার যে লক্ষ্য়মাত্রা ঠিক হয়েছে, এভাবে চললে, তা ছোঁয়া যাবে না বলে মত গবেষকদের। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">পৃথিবীতে যে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টিকা না পাওয়া শিশু রয়েছে, তার অর্ধেকেরও বেশি শিশু আটটি দেশেই রয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে–নাইজিরিয়া, ভারত, <a title="ব্রাজিল" href="https://ift.tt/pa6B0Nk" data-type="interlinkingkeywords">ব্রাজিল</a>, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইন্দোনেশিয়া। এর জন্য সামাজিক অসাম্যকে দায়ী করা হয়েছে।</span></p>
from india https://ift.tt/zG9I6Tb
via IFTTT
0 Comments