<p><strong>পোর্ট ব্লেয়ার:</strong> তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রাত ১২টা বেজে ১১ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। এখনও পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। (Andaman Earthquake)</p> <p>গত ২২ জুলাই দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে সম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.২। সেবার কম্পনের উৎসস্থল ছিল ফরিদাবাদ। ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, ঘন ঘন দেশের মাটি কেঁপে ওঠা মোটেও শুভ লক্ষণ নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর তার এক সপ্তাহ পরই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দুলে উঠল। তবে দিল্লির তুলনায় কম্পনের তীব্রতা অনেক বেশি সেখানে। (Earthquake in Andaman and Nicobar Islands)</p> <p>আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। মাটির নীচে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ও বর্মা প্লেটের কিনারায় অবস্থান। ওই দুই পাত সামান্য নড়াচড়া করলেও কেঁপে ওঠে আন্দামান ও নিকোবর। সুনামি পরিস্থিতি দেখা দেয়। আন্দামান ও নিকোবর Seismic Zone 5-এর অন্তর্গত, ভূমিকম্পের প্রবণতার নিরিখে ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল।</p> <blockquote class="twitter-tweet"> <p dir="ltr" lang="en">Earthquake of Magnitude: 6.3, On: 29/07/2025 00:11:50 IST, Lat: 6.82 N, Long: 93.37 E, Depth: 10 Km, Location: 62km WSW of Campbell Bay, Andaman and Nicobar island, India <a href="https://t.co/vbf9SVphL3">pic.twitter.com/vbf9SVphL3</a></p> — NCIB NEWS | Andaman & Nicobar Islands (@NCIBNEWS_ANI) <a href="https://twitter.com/NCIBNEWS_ANI/status/1949914124588339279?ref_src=twsrc%5Etfw">July 28, 2025</a> <script src="https://platform.twitter.com/widgets.js" async="" charset="utf-8"></script> </blockquote> <p>বিগত কিছু দিন ধরেই ভারতের মাটির নীচে অস্থিরতা চোখে পড়ছে। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে ২৯ জুলাই থেকে ১ অগাস্ট দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে বিপর্যয়ের প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি (Disaster Preparedness Drills) চালানো হয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের তরফে এই কর্মসূচি চালানো হয়, যাকে মেগা মক ড্রিলও বলা হচ্ছে। ভারতীয় সেনা এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারও এতে অংশ নেয়, যাতে ভূমিকম্প এবং রাসায়নিক বিপর্যয়ের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে সবকিছু সামাল দেওয়া যায়। </p> <p>বিপর্যয় প্রতিরোধী এই মক ড্রিলের নাম রাখা হয় 'সুরক্ষা চক্র'। দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় এই প্রথম বিপর্যয় প্রতিরোধে মক ড্রিল হল। হঠাৎ বিপর্যয় নেমে এলে কী করণীয়, কী ভাবে প্রাণ বাঁচাবেন, সে ব্যাপারে সচেতন করা হয় নাগরিকদের। দিল্লিতেই শুধুমাত্র ১১টি জেলার ৫৫টি জায়গাকে মক ড্রিলের জন্য বেছে নেওয়া হয়। পুলিশ, দমকল বিভাগ, অ্যাম্বুল্যান্সও অংশ নেয় এই মক ড্রিলে।</p>
from india https://ift.tt/EST5hWw
via IFTTT
0 Comments