<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা চলবে না। এবার হুঁশিয়ারি এল NATO-র কাছ থেকে। ভারত, চিন, ব্রাজিলের মতো দেশকে সতর্ক করা হল। বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টি করার নির্দেশও দিল NATO. (Russia-Ukraine War)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">NATO-র সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রিটা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “চিনের প্রেসিডেন্ট হোন বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী, অথবা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেলে, তাদের কাছ থেকে তেল, গ্যাস কেনা চালিয়ে গেলে, আপনাদেরও বুঝতে হবে, মস্কোর ওই ব্যক্তি যদি শান্তিপ্রস্তাবে আমল না দেন, আমি কিন্তু ১০০ শতাংশ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপাব।” (NATO Warns India)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মার্ক আরও বলেন, “ওই তিন দেশকে বলব, বিশেষ করে যদি বেজিং অথবা দিল্লিতে থাকেন, বা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হোন যদি, বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করুন। কারণ এতে জোর ধাক্কা লাগতে পারে। তাই বলব, ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করুন। বলুন শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। অন্যথায় ব্রাজিল, ভারত এবং চিনের উপর কিন্তু ব্যাপক আঘাত নেমে আসবে।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">NATO-র তরফে যেভাবে বেছে বেছে ভারত, চিন ও <a title="ব্রাজিল" href="https://ift.tt/BpXjDWS" data-type="interlinkingkeywords">ব্রাজিল</a>কে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য় জোগানোর ঘোষণা করেছেন। রাশিয়া এবং তাদের সহযোগী দেশগুলির উপর চড়া শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে Patriot Missile System দেওয়ার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে রাশিয়ায় হামলা করার প্রসঙ্গো উঠে এসেছে তাঁর মুখে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">স্বভাবতই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাশিয়ার সহযোগী দেশগুলি। কারণ ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়ার রফতানি করা পণ্য যে দেশগুলিতে ঢোকে, যারা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও অন্যান্য সামগ্রী কেনে, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে, ওই সব দেশের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। ট্রাম্প বলেন, “৫০ দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তি না হলে, পরিস্থিতি খারাপ হবে। শুল্কের পাশাপাশি অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাও চাপবে।” আমেরিকার কংগ্রেস অনুমতি না দিলেও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পথ থেকে সরবেন না বলেও ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আমেরিকার সেনেটে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা থাকায় ট্রাম্প চাইলে রাশিয়ার সহযোগী দেশগুলির উপর ৫০০ শতাংশ শুল্কও বসাতে পারেন।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এমন পরিস্থিতিতে ভারতের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে ভারত, চিন এবং তুরস্কই। ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা চাপালে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে যেমন, তেমনই জ্বালানির জোগানেও ভাঁটা পড়বে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও আগুন হয়ে যেতে পারে। রাশিয়ার তরফে এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ থামানোর কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। দেশের উপ বিদেশমন্ত্রী সেরগেই রায়াবকভ জানিয়েছেন, মস্কো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় রাজি। কিন্তু হুমকি-হুঁশিয়ারিতে কোনও কাজ হবে না।</span></p>
from india https://ift.tt/hrm80ca
via IFTTT
0 Comments