<p>Karnataka News: ভয়ঙ্কর ঘটনা কর্নাটকের মাইসুরু গ্রামে। ২০ বছরের এক বিবাহিত তরুণীর মৃত্যু হয়েছে মর্মান্তিক ভাবে। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীকে মেরে ফেলেছে তাঁর প্রেমিক। তরুণীর মুখের ভিতর বিস্ফোরক ঢুকিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। শোনা গিয়েছে, পুলিশের হাতে ক্রাইম সিনের একটি ভিডিও এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একটি বিছানায় শোয়া রয়েছেন তরুণীর। মুখের নীচের অংশ সম্পূর্ণ ভাবে ঝলসে বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। মেঝেয় বইছে রক্তের স্রোত। </p> <p>জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে একটি লজে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। কেরলের এক দিনমজুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল এই তরুণীর। কিন্তু বিয়ের পরে নিজের বাপের বাড়ির দিকের এক আত্মীয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এই তরুণী। জানা গিয়েছে, লজে থাকাকালীন প্রেমিকের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় তরুণীর। পুলিশের অনুমান, এরপরই ওই যুবক তরুণীর মুখে কোনও দাহ্য পদার্থ গুঁজে দেন। এরপর খনিতে জিলেটিন স্টিক বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত হয় এমন একটি জিনিস দিয়ে ও দাহ্য পদার্থ জ্বালিয়ে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এর ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। </p> <p>এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটানোর পর অভিযুক্ত যুবক সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। সকলকে সে বলেছিল তরুণীর মৃত্যু হয়েছে মোবাইল ফোনের বিস্ফোরণের কারণে। তবে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয়রাই ধরে ফেলেন অভিযুক্তকে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। এরপর মৃতদেহের শনাক্তকরণ হওয়ার পর, অভিযুক্ত যুবককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। </p> <p>সম্প্রতি হায়দরাবাদেও ঘটেছে এক ভয়ানক ঘটনা </p> <p>৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করেছেন স্বামী। খুনের পর টুকরো টুকরো করে কাটেন স্ত্রী'র দেহ। এরপর আলাদা আলাদা প্লাস্টিকে ভরে তরুণীর মাথা, হাত, পা নদীতে ফেলে দেন অভিযুক্ত। আর ধড় লুকিয়ে রাখেন ঘরের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লাভ ম্যারেজ হয়েছিল স্বাতী এবং মহেন্দ্রর। তাঁরা দু'জনেই হায়দরাবাদের ভিকারাবাদ জেলার কামারেড্ডিগুডার বাসিন্দা। বিয়ের পর থাকতে শুরু করেন বালাজি হিলসে। সেখানেই ঘটেছে এই ভয়াবহ কাণ্ড। </p> <p>২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয়েছিল মহেন্দ্র এবং স্বাতীর। ওই বছর এপ্রিল মাসেই গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় নালিশ জানান স্বাতী। গত ২২ অগস্ট ঝগড়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। ডাক্তার দেখানোর পর বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন স্বাতী। রাজি হননি মহেন্দ্র। শুরু হয় ঝগড়া। তারপরই স্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেন মহেন্দ্র। আপাতত মহেন্দ্রকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। </p>
from india https://ift.tt/qBAFZoj
via IFTTT
0 Comments