Nikki Bhati Death: 'ওরা মাকে জ্বালিয়ে দিল'... প্রতি সন্ধ্যায় মাকে মনে করে ডুকরে কেঁদে ওঠে ৭ বছরের ছেলেটা

<p>Nikki Bhati Death:&nbsp;প্রায় ছয় দশক আগে ভারতে বেআইনি ঘোষিত হয়েছে পণপ্রথা। অথচ সেই পণের জন্যই জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এক তরুণীকে। মৃত্যু হয়েছে ২৮ বছরের নিক্কি ভাটির। ৭ বছরের ছোট্ট এক ছেলে রয়েছে নিক্কির। পুলিশ সূত্রে খবর, নিক্কি ভাটিকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছিল তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি। ছোট্ট ছেলেটা চোখের সামনেই মা-কে পুড়তে দেখেছিল। আর সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্যই তার মাথায় গেঁথে গিয়েছে। প্রতিদিন কান্নাকাটি করে বাচ্চাটি। আর বলতে থাকে 'মাকে ওরা জ্বালিয়ে দিল'।&nbsp;</p> <p>আপাতত নিক্কির মা-বাবার কাছেই রয়েছে তাঁদের নাতি। বাচ্চাটির দাদু জানিয়েছেন, তাঁর সাধ্য মতো বাচ্চাটিকে বড় করে তুলবেন তিনি। যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা, স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন নাতিকে। নিক্কির বাবার কথায়, 'রোজ সন্ধে হলেই মাকে মনে করে ছেলেটা কাঁদতে থাকে। আর বলতে শুরু করে ওরা মাকে জ্বালিয়ে দিল।' মেয়ের নৃশংস পরিণতির কথা বলতে গিয়ে বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছিল তাঁর বাবা ভিখারি সিং পায়লার-ও। নিক্কির দিদি কাঞ্চনও জানিয়েছেন, তাঁর চোখের সামনেই বোনকে জ্বালিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পণের জন্যই এই অত্যাচার। শুধু নিক্কি নয়, পণের জন্য কাঞ্চনের উপরেও চরম অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।&nbsp;</p> <p>একই বাড়িতে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ভিখারি সিং পায়লা। নিক্কির বিয়ে হয় বিপিনের সঙ্গে। আর কাঞ্চনের বিয়ে হয় রোহিতের সঙ্গে। সম্প্রতি ৩৬ লক্ষ টাকার পণের দাবি করেছিল বিপিন এবং রোহিতের পরিবার। তা দিতে না পারার ফলেই নিক্কিকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় বিনি এবং তাঁর মা, অভিযোগ এমনই। অন্যদিকে, কাঞ্চনকেও বেধড়ক মারধর করে প্রায় আধমড়া করে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।&nbsp;</p> <p>বিয়ের সময় বেকার ছিল বিপিন এবং রোহিত। সম্বল বলতে বাবার মুদির দোকান। কিন্তু বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দাবি এসইউভি গাড়ি, বেশ ভাল পরিমাণ সোনা, দামি বাইক এবং নগদ পাওয়ার পর বড় লোভ জেগেছিল ভাটি পরিবারের মনে। প্রবাদে আছে লোভের কোনও সীমা নেই। এক্ষেত্রেও তাই-ই ঘটেছে। বিয়ের পর থেকে বারংবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো নিক্কি এবং কাঞ্চনকে। মেয়েদের কথা ভেবে সাধ্যের বাইরে গিয়েও সমস্ত দাবিদাওয়াই মেটানোর চেষ্টা করত ভিখারি সিং পায়লা-র পরিবার। তবে এবারের দাবি ছিল ৩৬ লক্ষ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ পণ দিয়ে উঠতে পারেনি নিক্কির পরিবার। আর সেই রোষেই তাঁকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরে দিয়েছে স্বামী এবং শাশুড়ি, এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/PTsfB0Q
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments