Nikki Bhati Death: পণের জন্য অত্যাচার সইত মেয়ে, তাও কেন দিতেন টাকা? কেন ফিরিয়ে আনেননি? জবাবে কী বললেন নিক্কির বাবা

<p>Nikki Bhati Death: গ্রেটার নয়ডায় ঘটে গিয়েছে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। অভিযোগ, পণের টাকা না পাওয়ায়, ২৮ বছরের তরুণী নিক্কি ভাটিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল নিক্কির। সেই সময় তাঁর স্বামী ছিল পড়ুয়া এবং বেকার। সম্বল বলতে ছিল পারিবারিক মুদির একটা ছোট দোকান। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দামি এসইউভি গাড়ি, বাইক, সোনা, নগদ টাকা- সবই দিয়েছিল নিক্কির পরিবার। আর তাতেই সম্ভবত লোভ বেড়ে গিয়েছিল নিক্কির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। ক্রমাগত বাড়তে থাকে পণের পরিমাণ। আর তা দিতে না পারলেই চলত অত্যাচার। বেশিরভাগ সময়েই কষ্ট করে হলেও পণের দাবি মেটাত নিক্কির বাপের বাড়ির লোকজন। তবে এবারের ৩৬ লক্ষ টাকা আর দিতে পারেননি তাঁরা। আর তার জেরেই নৃশংস ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে নিক্কিকে। মৃতের স্বামী, ভাসুর, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।&nbsp;</p> <p>কিন্তু পণপ্রথা যে দেশে বেআইনি ঘোষিত হয়েছে তা কি জানতেন না নিক্কির বাবা কিংবা পরিবারের বাকি সদস্যরা ?&nbsp;</p> <p>এ হেন প্রশ্নের জবাব নিক্কির বাবা যা বলেছেন, তাতে হতবাক হতে হয়। চমকে যাওয়ার পাশাপাশি শিউরেও উঠতে হয়। নিক্কির বাবা ভিখারি সিং পায়লা-র কথায়, তাঁদের বংশে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পণ বা যৌতুক দিয়েই বিয়ে হয়। দুই মেয়ের বিয়ে ভালভাবেই দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় মেয়েদের বিয়ে দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু যে বাড়িতে মেয়ে এত অত্যাচারিত হত, সেখান থেকে কেন তাঁকে নিয়ে আসেননি পরিবারের লোকজন? জবাবে নিক্কির বাবা জানান, তাঁকে সমাজ এবং বংশের কথা শুনে চলতে হয়।&nbsp;</p> <p>প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন, নিক্কির আরেক আত্মীয়। সম্পর্কে নিক্কির কাকা হন তিনি। নিক্কি অত্যাচারিত হচ্ছে জেনেও কেন বারবার দেওয়া হতো টাকা? কেনই বা ওই বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয়নি? জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, একবার নিয়েও আসা হয়েছিল নিক্কিকে। কিন্তু তাঁর বাড়ির লোকই চেয়েছিল মেয়ে ফিরে যাক। আর পণের দাবি মিটিয়ে সংসারে শান্তি বজায় রাখতে চাইত নিক্কি নিজেও। এমনকি তাঁর পরিবারের লোকজনও। অর্থাৎ চিরাচরিত ভাবে মেয়েদের 'মানিয়ে নেওয়ার' যে ধারণা রয়েছে, এখানেও সেটাই বজায় ছিল।&nbsp;</p> <p>বর বেকার ছিল। তবে স্বনির্ভর হতে চেয়েছিলেন নিক্কি। একই মত ছিল তাঁর দিদি কাঞ্চনেরও। দুই বোন মিলে বিউটি পার্লার খুলেছিলেন। শুরু করেছিলেন বুটিকের ব্যবসাও। আর তার প্রচারের জন্য ইনস্টাগ্রামে রিলসও পোস্ট করতেন নিক্কি এবং কাঞ্চন। তবে এই নিয়ে আপত্তি ছিল নিক্কির স্বামী বিপিনের। বাধা দিত সে। তার দাবি ছিল একটাই। শ্বশুরবাড়ি থেকে আরও টাকা নিয়ে আসতে হবে নিক্কিকে।&nbsp;&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/ChL4NOt
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments