Noida Dowry Case: নয়ডায় তরুণী খুনে নয়া মোড় ! পণের জন্য অত্যাচার সইতে হয়েছে তাঁকেও, বিস্ফোরক অভিযোগ মৃতার বৌদির

<p>Noida Dowry Case:&nbsp;পণের জন্য নয়ডায় জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এক তরুণীকে। অভিযোগের তির তরুণীর শ্বশুরবাড়ির দিকে। ইতিমধ্যেই তরুণীর বর, ভাসুর এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল নিক্কি ভাটি নামে বছর ২৮- এর ওই তরুণীকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ভিডিও। নিক্কির ৭ বছরের ছোট্ট ছেলের সামনেই ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, বর আর শাশুড়ি মিলেই নিক্কির উপর নির্যাতন করছেন।&nbsp;</p> <p>তবে এই ঘটনায় এবার এসেছে নয়া মোড়। নিক্কির বউদি মীনাক্ষীও জানিয়েছেন, তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পণের জন্য তাঁর উপরও অত্যাচার চলে। অর্থাৎ এবার অভিযোগের তির সরাসরি নিক্কির বাপের বাড়ির দিকে। মীনাক্ষীর অভিযোগ মূলত শ্বশুর-শাশুড়ির দিকে। ২০১৬ সালে নিক্কির দাদা রোহিতের সঙ্গে বিয়ে হয় মীনাক্ষীর। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে রোহিতের পরিবারকে মারুতি সুজুকি সিয়াজ গাড়ি দিয়েছিলেন মীনাক্ষীর পরিবার, এমনই দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু ওই গাড়িকে 'অশুভ' বলে তা বিক্রি করে দেন নিক্কির বাবা-মা, এমনই অভিযোগ করেছেন মীনাক্ষী। মীনাক্ষীর আরও অভিযোগ, ওই গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার পর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের কাছে একটি নতুন স্করপিও এসইউভি মডেল এবং নগদের দাবি জানান। কিন্তু এই দাবি মেটাতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন মীনাক্ষীর পরিবার। অভিযোগ, এরপর মীনাক্ষীর শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।&nbsp;</p> <p>গোটা বিষয়টি পৌঁছয় গ্রাম পঞ্চায়েতেও। সেখানে নিদান দেওয়া হয়, মীনাক্ষীর পরিবার বিয়েতে যে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল, তা যেন তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়, যাতে মীনাক্ষীর দ্বিতীয়বার বিয়ে দেওয়া যায়। অথবা মীনাক্ষীর শ্বশুরবাড়ির লোক যেন তাঁকে নিজেদের বউমা হিসেবে ঘরে ফিরিয়ে নেন। পঞ্চায়েত নিদান দিলেও সমস্যা নিষ্পত্তি হয়নি। মীনাক্ষীর অভিযোগ, নিক্কির বাবা অর্থাৎ তাঁর শ্বশুর ভিখারি সিং পায়লা এবং পরিবারের অন্যান্যরা কখনও তাঁকে মেনে মেয়নি। এই বিষয়ে নিক্কির দাদা রোহিতে জিজ্ঞাসাবাদ করায় মুখে কুলুপ আঁটেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চান না। এগুলো নিছকই অভিযোগ। তবে নিক্কির বাপের বাড়ির তরফের এক আত্মীয় দাবি করেছেন যে, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে দুই পরিবারের মধ্যে বন্দুকের লড়াইও হয়। তবে সেই সঙ্গে নিক্কির পরিবারে সমর্থনে ওই ব্যক্তি এও বলেছেন যে। ঝামেলা সব পরিবারেই হয়। কিন্তু তাঁরা (নিক্কির পরিবার) অন্তত তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলেনি। ।&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/H1hjI9r
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments