<p>ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করলেন আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সমালোচনা করে প্রাক্তন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলছেন যে, এটা প্রমাণ করে যে প্রেসিডেন্ট আবারও "বৃহত্তর কৌশলগত ছবিটা হারিয়ে ফেলেছেন।" একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বোল্টন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের বিদেশ-নীতির ত্রুটিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। তাঁর কথায়, ট্রাম্প বৃহত্তর কৌশলগত চিত্র হারিয়ে ফেলেছেন। আমার মনে হয় তিনি ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে আবারও তা করেছেন। তিনি সরাসরি রাশিয়া বা চিনের বিরুদ্ধে যাননি - যারা ভারতের চেয়ে বেশি রাশিয়ান তেল কেনে।</p> <p>আমেরিকার প্রেসিডেন্টের আরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, "ট্রাম্প কেবল বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। বৃহত্তর কৌশলগত ছবিটা হারিয়ে গিয়েছে। উনি রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি, তবে ভারতের উপর করেছেন। তিনি চিনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি, যে দেশটি ভারতের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি তেল ও গ্যাস ক্রয় করে।"</p> <p>ট্রাম্পের চিনের প্রতি আকর্ষণের চিত্র তুলে ধরে বোল্টন তাঁর ক্ষমতায় থাকাকালীন একটি পর্বের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আমি আমার বইয়ে সেই গল্পটি বলছি যখন থেরেসা মে তাঁকে চেকার্সে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিখ্যাত হেলসিঙ্কি শীর্ষ সম্মেলনের আগে আমরা সেখানে ছিলাম এবং ট্রাম্প তাঁর ২০১৭ সালের চিন সফরের বিষয়বস্তুতে ফিরে আসেন। আর তিনি থেরেসা মে-কে বলেন, তারা আমাকে ইতিহাসের যে কোনও বিদেশি নেতার থেকে আমাকে সবথেকে বড় অভ্যর্থনা জানিয়েছে।"</p> <p>গত অগাস্ট মাসেও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ভারতের উপর অত্যধিক শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন জন বোল্টন। তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে নয়াদিল্লিকে রাশিয়া ও চিনের থেকে দূরে সরিয়ে রাখার আমেরিকার যে বহুদিনের প্রচেষ্টা তা অনেকটা পিছিয়ে গেল। তাঁর কথায়, "এই পদক্ষেপের ফলাফল বিপরীত হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, চিনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে।"</p> <p>দ্য হিলের জন্য প্রকাশিত এক লেখায় বোল্টন বলেন, বেজিংয়ের প্রতি ট্রাম্পের নরম অবস্থানকে মার্কিন কৌশলগত স্বার্থকে বিসর্জন হিসেবে দেখা যেতে পারে। তিনি লেখেন, "নয়াদিল্লির উপর আরোপিত শুল্ক হার এবং বেজিংয়ের প্রতি আরও নমনীয় আচরণের দিকে হোয়াইট হাউস এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে এটা বিরাট ভুল হবে।"</p>
from india https://ift.tt/BboJ9tX
via IFTTT
0 Comments