<p>Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রীদের আগেই খতম করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই ব্যক্তিকে যিনি ওই জঙ্গিদের সাহায্য করেছিলেন। পহেলগাঁও হামলার আগে ওই জঙ্গিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে, গা-ঢাকা দেওয়া, অন্যান্য যাবতীয় সাহায্য করেছিলেন এই ব্যক্তি, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামে পরিচিত বৈসারন উপত্যকায় নারকীয় হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। স্থানীয় এক টাট্টু ঘোড়ার চালক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই তালিকায় ছিলে নিরীহ পর্যটকরা। পুরুষ পর্যটকদের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দুদের বেছে বেছে নিশানা করে জঙ্গিরা। </p> <p>এই জঙ্গিদের সাহায্যকারী হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যাঁকে গ্রেফতার করেছে তাঁর নাম মহম্মদ কাটারি। তাঁকে আদালতে পেশ করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পহেলগাঁও হামলার পর এবছর জুলাইতে অপারেশন মহাদেব করেছিল সেনা। সেখানেই খতম করা হয়েছিল বৈসারন উপত্যকার ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ জঙ্গিকে। তাদের থেকে পাওয়া অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য জিনিস্পত্রের ফরেন্সিক পর্যবেক্ষণের পর মহম্মদ কাটারিকে গ্রেফতার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। অপারেশন মহাদেবের পর ফের একবার পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার ব্যাপারে বড়সড় সাফল্য পেল উপত্যকার নিরাপত্তাবাহিনী। </p> <p>পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসারন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার দায়ে শিকার করেছিল লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন টিআরএফ। বৈসারনের জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারত অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। এই তালিকায় ছিল হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ - এর মতো জঙ্গি সংগঠনের হেডকোয়ার্টার। মাসুদ আজহারের এক ভাই যে কান্দাহার বিমান অপহরণে যুক্ত ছিল, খতম হয় সেও। মাসুদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যেরও মৃত্যু হয় বলে খবর। </p> <p>পহেলগাঁও হামলার তিন মাস্টারমাইন্ড সুলেমান, আফগানি এবং জিবরানকে খতম করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। ভারতীয় সেনার অপারেশন মহাদেবে নিকেষ করা হয়েছে এই তিন জঙ্গিকে। এই জঙ্গিরা যাতে কোনওভাবেই পাকিস্তানে ফিরে যেতে না পারে, সেটাই প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল নিরাপত্তাবাহিনীর। আর সেই ব্যবস্থা করতে গিয়েই ৮ কিলোমিটার লম্বা একটি সুড়ঙ্গের হদিশ পায় সেনা। পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার জন্য এটা ছিল আদর্শ পথ। তাই যেনতেনপ্রকারেণ এই পথ বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী। অনুপ্রবেশের জন্যও সম্ভবত এই গুপ্ত সুড়ঙ্গেরই ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। তাই এই গুপ্তপথের হদিশ পাওয়ার পর আর সময় নষ্ট করেনি সেনাবাহিনী। এই সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ফেলা হয়। তার ফলেই প্লাবিত হয় এই গোপন রাস্তা। আর পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে পারেনি জঙ্গিরা। গা-ঢাকা দিতে হয় এদেশেরই ভূখণ্ডে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের খতম করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। </p>
from india https://ift.tt/b5tg61f
via IFTTT
0 Comments