<p><strong>শিবাশিস মৌলিক, অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা:</strong> মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে দেশজুড়ে তোলপাড়। শনিবার রাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মূল অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনে। আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আরেক অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার প্রশান্ত ব্যাঙ্কার। </p> <p>[yt]https://youtu.be/9f3I0OjCHKE?si=ELA5Y7VHv0PRjmWh[/yt]</p> <p>আরও পড়ুন, <a title="আজই ঘোষণা হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশজোড়া SIR-এর দিনক্ষণ, ২৩ বছর বাদে বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন" href="https://ift.tt/6dzwuD3" target="_self">আজই ঘোষণা হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশজোড়া SIR-এর দিনক্ষণ, ২৩ বছর বাদে বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন</a></p> <p>মহারাষ্ট্রে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে লাগাতার ধর্ষণ, মানসিক নির্যাতন ও আত্মহত্যার ঘটনায় অবশেষে জালে মূল অভিযুক্ত। আত্মসমর্পণ করার পর সাব ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের হাতের তালুতে লেখা সুইসাইড নোটে, প্রথমেই যাঁর নাম লেখা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ফালটনের একটি হোটেলে তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাঁ হাতের তালুতে সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, ‘সাতারা জেলার ফালটন থানার সাব ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে আমার মৃত্যুর কারণ। তিনি আমাকে ৪ বার ধর্ষণ করেছেন। ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি আমাকে ধর্ষণ, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন। পাশাপাশি, মানসিক নির্যাতন করেছেন পুলিশ অফিসার প্রশান্ত ব্যাঙ্কার।<br /> <br />বিজেপি জোট শাসিত রাজ্যে এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ সামনে আসতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চাপের মুখে বরখাস্ত করা হয় দুই পুলিশ আধিকারিককে। গ্রেফতার করা হয় প্রশান্ত ব্যাঙ্কার নামে ওই পুলিশ আধিকারিককে। শনিবার মূল অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেও থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।মহারাষ্ট্র সাতারা পুলিশ সুপার তুষার দোশি বলেন,পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত SI গোপাল বাদনে, তিনি ফালটন গ্রামীণ থানায় কাল (শনিবার) গভীর রাতে আত্মসমর্পণ করেন। সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অন্তত ২১ বার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক। <br /> <br />মৃত চিকিৎসকের তুতো ভাই বলেন, ওর (চিকিৎসক) ওপর গত বছর থেকে পুলিশি এবং রাজনৈতিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ভুল ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরির জন্য চাপ বাড়ছিল। এনিয়ে SP, DSP সহ অনেকের কাছে অভিযোগ করেছিল, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। রোগীকে হাসপাতালে না এনেই ফিট আনফিট রিপোর্ট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আমার বোনের ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করার পর, বিচার না পেয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন মহিলা চিকিৎসক।তাঁর আত্মহত্যার পর তৎপর হয়েছে মহারাষ্ট্রের NDA সরকার। </p> <p>কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, সাধারণ মানুষকে দুষকৃতীদের থেকে রক্ষা করা যাদের কাজ, তারাই এই নিরীহ মহিলার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে- ধর্ষণ এবং শোষণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দুর্নীতি করতে তাঁকে চাপ দিয়েছিল। এটা আত্মহত্যা নয়, প্রাতিষ্ঠানিক খুন।ক্ষমতা যখন অপরাধীদের ঢাল হয়ে যায়, কার থেকে বিচার চাইবে মানুষ? চিকিৎসকের মৃত্যু, বিজেপির অমানবিক ও অসংবেদনশীল চেহারা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। <br /> <br /> সূত্রের দাবি, ভুয়ো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট না দেওয়ায় এক সাংসদ তাঁকে ফোনে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক। কিন্তু তখন কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,এমপির নাম অবিলম্বে সামনে আনা হোক। শোনা যাচ্ছে পিএম রিপোর্টে কারচুপি। আর এক সংসদের নাম উঠে আসছে। কেন সেটা ঢাকা হচ্ছে? কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, মহারাষ্ট্র সরকারের উপরে আস্থা রাখছি। ওরা উপযুক্ত তদন্ত করে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ধৃত গোপাল বাদনেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সাতারা জেলা আদালত। </p>
from india https://ift.tt/DIOaKdG
via IFTTT
0 Comments