Wedding Story: রক্তের সম্পর্ক নয়, তবুও অটুট এই বোন-ভাইদের বন্ধন, শহিদ জওয়ানের বোনের বিয়েতে হাজির ব্যাটেলিয়ানের বাকিরা

<p>Wedding Story:&nbsp;বিয়ের দিনে দাদাকেই পাশে চেয়েছিলেন বোন। তবে বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। কারণ শহিদ হয়েছেন দাদা। তবে দাদা সশরীরে নেই তো কী হয়েছে, এই বোনের বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন দাদার ব্যাটেলিয়নের অনেকজন। হিমাচলপ্রদেশের সিরমাউর জেলা। সেখানকার আঞ্জি-ভোজ এলাকার ভারলি গ্রাম। আর এই গ্রামই সাক্ষী থাকল এমন বিরল মুহূর্তের। এই গ্রামেরই আশিস কুমার ছিলেন 19 Grenadiers Battalion- এর একজন সাহসী Grenadier, যিনি শহিদ হয়েছিলেন গত বছর (২০২৪) ২৭ অগস্ট, অরুণাচলপ্রদেশে। 'অপারেশন অ্যালার্ট' চলাকালীন শহিদ হন আশিস কুমার। তাঁরই বোনের বিয়ে ছিল সম্প্রতি। বাড়িতে ছিল খুশির আবহাওয়া। সানাইয়ের সুর, আত্মীয়-পরিজনের হাসিতে মেতে উঠেছিলেন সকলে। কিন্তু এইসবের মধ্যেও ছিল বিষাদের সুর। কারণ বাড়ির একজন সদস্য তো এই আনন্দের উৎসবের শামিল হতেই পারলেন না। কোনওদিন এই বাড়ির ছেলে আর ঘরে ফিরবে না, একথা জানেন সদস্যরা।</p> <p>আর সেই জন্যই বিয়ের দিনেও আশিসের বোন আরাধনার চোখে ছিল জল। পূজা নামেই বেশি পরিচিত আরাধনা। বিয়ের আসরে সবচেয়ে বেশি মনে করছিলেন নিজের দাদাকে। জানতেন দাদা আর আসবে না। তবুও, আবেগ বাধ মানতে চাইনি সহজে। কিন্তু বিয়ের দিন যে দারুণ একটা সারপ্রাইজ পাবেন, তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি আরাধনা। হঠাৎ করেই তাঁর বিয়ের আসরে হাজির হয়েছিলেন আশিসের ব্যাটেলিয়নের বেশ কয়েকজন জওয়ান। সকলের পরনে জওয়ানের পোশাক। চোখেমুখে দৃঢ়তার ছাপ স্পষ্ট। আরাধনার দিকে তাকিয়ে প্রতি মুহূর্তে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আশিস সশরীরে নেই তো কী হয়েছে, তাঁরা আছে। আশিসের বোন তো তাঁদেরও বোন। তাই বোনের বিয়ের দিন দায়িত্ব পালনে হাজির হয়েছেন 'সেনা জওয়ান দাদারা'।&nbsp;</p> <p>বিয়ের দিন সাধারণত দেখা যায় কনের ভাই, দাদা, বন্ধুরা মিলে ফুলের চাদরের তলায় কনেকে নিয়ে হাজির হন বিয়ের আসরে। এখানে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন আশিসের ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। আরাধনাকে ৩ লক্ষ টাকাও উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে এই পার্থিব উপহারের থেকেও অনেক বেশি কিছু বোনের জন্য নিয়ে এসেছিলেন 'জওয়ান দাদারা'। আশিসের চিন্তাভাবনা যে তাঁদের মাধ্যমে আজীবন বেঁচে থাকবে, সেকথা আরাধনাকে জানিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন তাঁর 'সেনা জওয়ান দাদারা'। বিয়ের আসরে এমন সারপ্রাইজ পেয়ে স্বভাবতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আরাধনা। দাদা যেন তাঁর পাশেই রয়েছে, প্রতি মুহূর্তেই এমনটা অনুভব করেছিলেন আরাধনা। রক্তের সম্পর্কের বাইরে গিয়েও যে অনেক অটুট বন্ধন এই সমাজে তৈরি হয়, আরাধনার বিয়ের আসরে এসে সেই কথাই আবারও প্রমাণ করে দিলেন এই সেনা জওয়ানরা।&nbsp;</p>

from india https://ift.tt/CQvj1al
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments