<p>Pakistan Linked Espionage Case: পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে দিল্লি থেকে CRPF-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর মোতিরাম জাটকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। এবার সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা সহ দেশের ৭ রাজ্যে একযোগে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতার খিদিরপুর, আলিপুর ও তপসিয়া সহ নানা জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। একাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় কলকাতার এনআইএ দফতরে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইলও। জানা গিয়েছে, ৮ রাজ্যের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি NIA- এর টিম। </p> <p>এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এনআইএ- এর তরফে এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র (মুম্বই), হরিয়ানা, রাজস্থান, ছত্তিসগঢ়, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরেও হানা দিয়েছিল এনআইএ- র টিম, এমনটাই জানা গিয়েছে। গত ২৬ মে গ্রেফতার হয়েছেন আরপিএফ- এর এএসআই মোতিরাম জাট। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওতে গত ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার আগে সেখানেই পোস্টিং ছিল এই সিআরপিএফ জওয়ানের। হামলার মাত্র ৫-৬ দিন আগে তাঁর ট্রান্সফার হয়। আপাতত তাঁকে জোরকদমে জেরা করছেন এনআইএ- এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। </p> <p>ধৃত সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছেন তিনি। ২০২৩ সাল থেকে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগ উঠেছে মোতিরামের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই সিআরপিএফ- এর এএসআই- কে জেরা করার পর যেসব তথ্য সামনে এসেছে, তার ভিত্তিতে দেশের ৮ রাজ্যের ১৫ এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর কারা এই গুপ্তচরবৃত্তির জালে যুক্ত তাঁদের খোঁজেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের হ্যান্ডলারদের নির্দেশে কারা কাজ করেছে, আর্থিক সহায়তা করেছে, তথ্য পাচার করেছে- এইসব কাজে যারা যুক্ত থেকেছে তাদেরকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ। ৮ রাজ্যের ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এনআইএ- র টিম একাধিক ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, সংবেদনশী আর্থিক নথি-সহ অন্যান্য অনেক সন্দেহজনক তথ্য উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বর্তমানে সেগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। </p> <p>সূত্রের খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্য পাচার করেছিলেন মোতিরাম। এই কর্মকর্তারা নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন মোতিরামের সঙ্গে। এই তালিকায় ছিলেন এক মহিলা, যিনি ভারতের এক মিডিয়ার হয়ে কাজ করতেন বলে দাবি করেছিলেন এবং তিনি যোগাযোগ করেছিলেন মোতিরামের সঙ্গে। এই মহিলার সঙ্গে একাধিক 'ক্লাসিফায়েড ডকুমেন্ট' শেয়ার করেছিলেন ওই সিআরপিএফ জওয়ান। কয়েক মাস পরে অন্য এক ব্যক্তিও যোগাযোগ করেন মোতিরামের সঙ্গে। ওই মহিলা সাংবাদিকের সহকর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। </p> <p>তথ্যসূত্র- আইএএনএস </p>
from india https://ift.tt/9iLg65N
via IFTTT
0 Comments