Bangladesh News: 'ময়মনসিংহের ওই বাড়ি সত্যজিৎ রায়ের নয়, রায় পরিবারের কোনও সংযোগই নেই', বিতর্কের মধ্যে জানাল বাংলাদেশ সরকার

<p><strong>ঢাকা:</strong> রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতৃপুরুষের বাড়ি থেকে ইন্দিরা গাঁধীর নামাঙ্কিত গ্রন্থাগার। ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণগুলি উপর গত কয়েক মাসে বার বার আঘাত নেমে এসেছে বাংলাদেশে। সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভাঙার খবর আসতেই তাই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ময়মনসিংহ শহরের যে বাড়ি ভাঙাকে ঘিরে বিতর্ক, সেটি মোটেই সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে নয়, ওই বাড়ির সঙ্গে রায় পরিবারের কোনও সংযোগই নেই বলে এবার জানিয়ে দিল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। (Bangladesh News)</p> <p>ময়মনসিংহের ডেপুটি কমিশনার মুফিদুল আলম বিষয়টিতে সিলমোহর দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ওই বাড়ির সমস্ত নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু রায় পরিবারের সঙ্গে ওই বাড়ির কোনও সংযোগ নেই। সংবাদমাধ্যমে আলম বলেন, "বুধবার জরুরি বৈঠক হয় বাড়িটি নিয়ে। সমস্ত সরকারি নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়। প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলি, ঐতিহাসিক নথিপত্র খতিয়ে দেখি। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই বাড়িটি আসলে ময়মনসিংহ চিলড্রেনস অ্যাকাডেমি। রায় পরিবারের সঙ্গে ওই বাড়ির কোনও যোগসূত্র মেলেনি। রেকর্ডে বাংলাদেশ সরকারের নামে লিপিবদ্ধ বাড়িটি। বাড়িটি সত্যজিৎ রায় বা তাঁর পূর্বপুরুষের নয়। কখনও এখানে ছিলেন না তাঁরা।" (Satyajit Ray's House in Bangladesh)</p> <p>'প্রথম আলো' জানিয়েছে, ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় রোডটি সেখানকার জমিদারের নামে নামাঙ্কিত। বাংলা শিশুসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পূর্বপুরুষ তিনি। সেই সূত্রেই রায় পরিবারের সঙ্গে সংযোগ। ওই হরিকিশোর রায় রোডের উপর একটি পুরনো একতলা বাড়ি ছিল, যেটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি হিসেবে ব্যবৃত হয়ে আসছিল। বাড়িটির অবস্থা দেখে ২০০৭ সালে সেটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নতুন করে নির্মাণ করতে সম্প্রতি বাড়িটি ভাঙতে শুরু করে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমিই।&nbsp;</p> <div id="d5a7d926-24ca-4724-9332-c1ef87e829bd"> <div class="storyCard eyOoS"> <div class=" story-element"> <div class="story-element story-element-text"> <p>বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধি দফতরের ফিল্ড অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে সম্প্রতি চিঠি দেন। বাড়িটি রায় পরিবারের বলে তিনিই দাবি করেন। চিঠিতে লেখা হয়, 'রায় পরিবারের ঐতিহাসিক বাড়ি এটি। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে তালিভুক্ত না করা হলেও, সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষেরই বাড়ি। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে সেটিকে'। আর সেখান থেকেই বিতর্কের সূচনা হয়। যদিও বাংলাদেশের 'সময় নিউজ'কে সাবিনা জানান, ইউটিউব দেখে বাড়িটি সত্যজিতের বলে মনে হয়েছে তাঁর। সাবিনা জানিয়েছেন, ওখানে সত্যজিতের পূর্বপুরুষের বাড়ি ছিল। তবে সেটি আগেই ভেঙে ফেলা হয়। এখন যে বাড়িটি ভাঙা হচ্ছে, সেটি কাছাকাছি অবস্থিত বলেই তাঁর মনে এমন ধারণা জন্মায়।</p> <p>পরিস্থিতি এমন হয় যে, এপার বাংলায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী <a title="মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়" href="https://ift.tt/mnipBo9" data-type="interlinkingkeywords">মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়</a>ও বিষয়টি নিয়ে সরব হন। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও ইউনূস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, 'বাঙালির ঐতিহ্যে আরও একটি আঘাত নেমে এল। বাংলাদেশে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের ভিটে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, বাংলা ভাষায় কথা বললেই কেউ বাঙালি হয়ে যায় না। ভাষা বাঙালি হওয়ার পরিচয়পত্র নয়'। বাড়িটি ভাঙা বন্ধ করতে হবে বলে দিল্লির তরফে অনুরোধও করা হয় ঢাকাকে। সেই মতো বুধবার বাড়িভাঙার কাজ বন্ধও ছিল।</p> <p>আর সেই পরিস্থিতিতেই বুধবার বিকেলে ডিসি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ময়মনসিংহ প্রশাসন বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলে। আলম জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে, সরকারের অনুমতি সাপেক্ষেই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। কোনও নিয়মভঙ্গ হয়নি। আলম বলেন, "সকলে একবাক্যে বলছেন, সেটি কখনওই সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি ছিল না। ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্য়ে তথ্য দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।"</p> <p>ময়মনসিংহের গবেষক তথা কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আংশিক সংয়ের অধ্যাপক স্বপন ধর BBC-কে জানিয়েছেন, বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের নয়। আসলে দানবীর হিসেবে পরিচিত রনদাপ্রসাদ সাহার বাড়ি সেটি। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার এবং জার্মানির যৌথ উদ্যোগে যে গবেষণা চালানো হয়, তাতেও একই তথ্য উঠে আসে বলে জানিয়েছেন তিনি। কথাসাহিত্যিক তথা সাংস্কৃতিক সংগঠক ফরিদ আহমেদ দুলাল জানান, হরিকিশোর রায় রোডে সত্যজিতের পূর্বপুরুষের একটি বাড়ি ছিল ঠিকই। কিন্তু সেখানে অনেক আগেই ১৪ তলার বহুতল উঠে গিয়েছে। কিছু না জেনেই মিথ্যে ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।</p> </div> </div> </div> </div>

from india https://ift.tt/udtRLDP
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments

EC On Mamata: 'মাইক্রো অবজার্ভাররা সবাই এরাজ্যের..', মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়ে দিল কমিশন